উখিয়ায় চাকরির নামে ইউরো ভিজিল কোম্পানির ঘুষ বানিজ্য

উখিয়ায় ইউরো ভিজিল কোম্পানি গার্ডের চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৫৪ জনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বয়ং স্বীকার করেছে ঐ কোম্পানি অপারেশন অফিসার গিয়াসউদ্দিন বাছেত। তিনি আরও জানান, তার কোম্পানিতে গার্ডের চাকুরীর পোশাক বাবদ ৩ হাজার টাকা নেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে। আমরা সে নিয়ম মাফিক ৫৪ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি।

জানা যায়, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলের পরে ক্যাম্পে ৫৪ জন স্থানীয় কুতুপালং গ্রামের বাসিন্দা চাকুরী করে আসছে ব্র্যাক সংস্থা এর মাধ্যমে। ব্রাকের প্রকল্প শেষ হয়ে গেলে নতুন কোম্পানি ইউরো ভিজিল নতুন করে দায়িত্ব নেয় এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর কথা মতো পুরনো ৫৪ জনকে পুনরায় গার্ড হিসেবে পূর্ণ বহাল রাখার জন্য সুপারিশ করেন। এই কোম্পানি লোকজনের সাথে বৈঠকও করেছেন বলে কুতুপালং গ্রামের বাসিন্দা নুরুল হক খান জানিয়েছেন। কিন্তু ঐ কোম্পানি রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে পুরোনো ৫৪ জনকে বাদ দিয়ে ঘুষের মাধ্যমে নতুন ৫৪ জনকে নিয়োগ দেন।এতে পুরনো গার্ডরা ক্ষেপে উঠে।

নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত মোঃ ছাবেক বলেন, আমি গার্ডের জন্য ৭ হাজার টাকা দিয়ে চাকুরীতে ডুকেছি।

এব্যাপারে জানতে চাইলে পুরনো গার্ড ছৈয়দ হোসন, হেমলাল বড়ুয়া, মোঃ রুবেল, মোঃ রাশেদসহ কয়েকজন সাংবাদিকদের জানান, আমরা ২০১৭ সালে থেকে ঐ কোম্পানিতে গার্ড হিসেবে ৮ হাজার টাকার স্বল্প বেতনে চাকুরী করে আসছি ৫ বছর ধরে।আমাদের পজেক্ট শেষ হয়ে গেলে ব্র্যাক সংস্থা আমাদের পুনরায় নেওয়ার জন্য নতুন কোম্পানি ইউরো ভিজিলকে বলে দেওয়ার পরও আমাদেরকে বাদ দিয়ে ঘুষের মাধ্যমে নতুন করে ৫৪ জনকে বিনা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়ে নেয়।

এ নিয়ে কোম্পানি লোকজনের সাথে পুরনো গার্ডদের মধ্যে শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বাকবিতন্ডা চলে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, ঐ কোম্পানিকে পুরনো ৫৪ জন গার্ডকে পূর্ণ বহাল রাখার জন্য বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন