কক্সবাজারে ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ-৬

বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলের নাজিরারটেক চ্যানেলে ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব ও সাইফুল ইসলাম। তাদের বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে।

শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেলে মহেশখালী চ্যানেলে আবু তৈয়বের মরদেহ ও সন্ধ্যায় সোনাদিয়া চ্যানেলে সাইফুল ইসলামের মরদেহ ভাসতে দেখেন জেলেরা। পরে নিহতের স্বজনরা কোস্ট গার্ডের সহায়তা মরদেহ দুটি উদ্ধার করেন।

কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের কক্সবাজার স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ জেলে।

এর আগে, শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবে যায়। এ সময় ১৯ জেলের মধ্যে ৮জনকে উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। অন্য ট্রলারে করে তীরে ফিরে আরও ৩জন। নিখোঁজ আট জনের মধ্যে তৈয়ব ও সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরিবার ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরে ট্রলার ডুবির পর দুই দফায় ১১জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

পরে শনিবার বিকেলে তৈয়ব ও সন্ধ্যায় সাইফুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে মায়ের দোয়া নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার। ওই ট্রলারে ১৯ জন জেলে ছিল। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৬ জন জেলে।

এদিকে, উদ্ধার হওয়ার জেলেদের মধ্যে মোহাম্মদ আলম (৫০) বলেন, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে বিশাল একটি ঢেউয়ে ট্রলার উল্টে যায়। এতে ট্রলারে থাকা ১৯ জন জেলে সাগরে ভাসতে থাকে। ১৯ জনের মধ্যে আমিসহ রাশেদ, ফরিদ, হাফেজ এই ৪ জন একটি লাইফ জ্যাকেট ধরে প্রায় ২ ঘন্টা ভাসতে থাকি। এক পর্যায়ে সাগর থেকে ফেরার পথে ২টি ট্রলার আমাদের উদ্ধার করে। এরপর ঘটনাস্থলে কোস্টগার্ড এসে চিকিৎসা জন্য কক্সবাজার উপকূলে নিয়ে যায়। এখন মোটামুটি সুস্থ রয়েছি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফিশিং ট্রলারের মালিক কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল লামাজি পাড়ার বাসিন্দা জাকের সওদাগর বলেন, গত মঙ্গলবার ১৯ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে গভীর সাগরে মাছ শিকারে যায় এফবি মায়ের দোয়া ট্রলার। পরবর্তীতে দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ায় সাগর উত্তালে মাছ শিকার না করে শুক্রবার উপকূলে ফিরতে শুরু করে ট্রলারটি। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক মোহনায় এসে ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি উল্টে যায়। পরে স্থানীয় জেলে ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ১১জন জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে । তারমধ্যে ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিরা নিখোঁজ রয়েছে।

আরও পড়ুন