লামায় বসতি উচ্ছেদ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন

পাহাড়িকা প্লান্টেশন লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ও মাঠ পরিচালক রবিউল হোসেন ভূইয়া কর্তৃক অবৈধভাবে ক্ষমতার দাপট ও মিথ্যা মামলার হুমকি প্রদর্শন করে বসতবাড়ী থেকে উচ্ছেদ চেষ্টা, হয়রানী ও ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

রবিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মুখ সড়কে ভুক্তভোগী ১৮ পরিবারের সদস্যরা এ মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) মাধ্যমে নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানায়, ১৯৮০-৮১ সাল থেকে ম্যালেরিয়া, সন্ত্রাসী হামলা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে এবং শতবাধা বিপত্তি উপক্ষো করে উপজেলার পোপা মৌজার ঠাকুরঝিরিতে বসবাস করে আসছেন তারা। সম্প্রতি কতিপয় বহিরাগত ভুমিদস্যু পাহাড়িকা প্লান্টেশনের নামে বিভিন্ন জনের নিকট হতে জালজালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে দখল বিহীন ভুয়া কবলিয়তের মাধ্যমে জায়গা ক্রয় করে ২৯৭নং পোপা মৌজায় বসবাসরত ১৮ পরিবারের বসতভিটা, বাগান জোরপূর্বক জবর দখল করে উচ্ছেদ করার জন্য ষড়যন্ত্র, মিথ্যা মামলা সহ হয়রানি করছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. রবিউল হোসেন ভূইয়া ও পাহাড়িকা প্লান্টেশন লিমিটেডের পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন। এসব বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সাংবাদিকদের অবহিত করে বিচার দাবী করলে উভয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিলে কোট ডায়েরী ও প্রশাসনকে আবেদন যোগে অবহিত করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। তারা বলেন, ভুমিদস্যুরা কোটিপতি ও মামলাবাজ। এরা সরকারের আইন কানুন মানেনা। বর্তমানে আমাদেরকে রবিউল হোসেন ভুইয়া জায়গা ছেড়ে চলে যেতে বলছেন। নতুবা সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে ও মিথ্যা মামলা করে এলাকা ছাড়া করবে। প্রয়োজনে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাযষ্ণ চালাবে মর্মেও হুমকি দিচ্ছেন। তাই জীবন ও ঘরবাড়ী রক্ষার্থে এ মানববন্ধন। এদিকে অভিযুক্ত পাহাড়িকা প্লান্টেশনের প্রকল্প পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন, ১০-১২ বছর আগে স্থানীয় রবিউল হোসেন ভুইয়ার মাধ্যমে ওই জায়গাগুলো ক্রয় করে পাহাড়িকা প্লান্টেশনের কার্যক্রম শুরু করি। জায়গাগুলো নিয়ে অতীতে কোন অভিযোগ ছিলনা। বর্তমানে জায়গার মুল্য বেড়ে যাওয়ায় ওই পরিবারগুলো কারো না কারো প্ররোচনায় আমাদের জমিগুলো দখলের চেষ্টা করছে মাত্র। এরপরও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে বসে ১৮ পরিবারের দাবী যথাযথ হলে সমাধানের চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি। এদিকে অভিযুক্ত পাহাড়িকা প্লান্টেশনের মাঠ পরিচালক রবিউল হোসেন ভুইয়া জানান, জায়গাগুলো পাহাড়িকা প্লান্টেশনের। যারা মানববন্ধন করেছেন, তাদের কোন জায়গা জমি নাই। তারা তৃতীয় পক্ষের ইন্দনে পাহাড়িকা প্লান্টেশনকে বিতর্কিত করার জন্য পায়তারা করছে।

আরও পড়ুন