পেকুয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন আরও ৩১ পরিবার

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় কক্সবাজারের পেকুয়ায় ঘর পেয়েছেন আরও ৩১ পরিবার।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা হলরুমে এক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভিড়িও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভোধন করে উপকারভোগীদের কাছে জমির দলিলসহ এসব ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠিত দলিল ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমা।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া- পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলম এমপি। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট উম্মে কুলসুম মিনু, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রাহুল চন্দ, টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এমপি জাফর আলম বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ছিল কেউ গৃহহীন ও ভূমি হীন থাকবে না। তারই ধারাবাহিকতায় জননেত্রী শেখ হাসিনা এ অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে তাদের মাথা খোঁজার ঠাঁয় করে দিচ্ছেন।

এসময় টইটং ইউপির ৭ নং ওয়ার্ডের উপকারভোগী ছৈয়দা বেগম বলেন প্রধান মন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর ইউ এনও পূর্বিতা চাকমার স্যারের মাধ্যমে পেয়ে আমি মহা খুশি। আমার কোন ঘর ছিল না রাস্তার ধারে পলিথিন দিয়ে একটি ছোট খুঁড়িঘরে বসবাস করছিলাম। সেখান থেকে চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর সুপারিশে আজ একটি ঘর পেয়েছি। মাথা খোঁজার ঠাঁয় পেয়ে আল্লাহর কাছে প্রধানমন্ত্রী, ইউএনও, চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া করছি। কখনো স্বপ্নে দেখিনি পাকা ঘরে থাকব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।

এদিকে উপকারভোগীদের কে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করার পাশাপাশি প্রতিবছরের ন্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমার পক্ষ থেকে তাঁদেরকে ফলজ ও বনজ গাছের চারা উপহার তুলে দেন অতিথিরা।

এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, ৩য় পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পেকুয়ার ৩১ গৃহহীন পরিবারকে ঘরের চাবি ও জমির কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে ৯টি, শিলখালী ১৭টি, ও টৈটং ইউনিয়িনের ৫টি গৃহহীন পরিবার ৩য় পর্যায়ে মুজিব শতবর্ষের ঘর পেয়েছেন। তাছাড়া এ পর্যায়ে ২৭টি ঘর নির্মাণের বরাদ্দ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এগুলোর জন্য সাইট সিলেকশন, মাটি ভরাট ও পর্যাপ্ত খাস জমির দখল পুনরুদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। বরাবরের মতোই সুবিধাভোগী প্রতিটি পরিবার সেমি পাকা ঘরের পাশাপাশি ২ শতাংশ ভূমির মালিকানার স্বপক্ষে একটি কবুলিয়ত দলিল, নামজারি খতিয়ান ও হালসনের ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ পেয়েছে।

এছাড়াও ১ম ও ২য় পর্যায়ে পেকুয়ায় মোট ১০০টি গৃহহীন পরিবার মুজিব শত বর্ষের ঘর পেয়েছে। এর মধ্যে মগনামায় ৩১টি, বারবাকিয়া ১টি, শিলখালী ১৮টি, টৈটং ২৯ টি, উজানটিয়ায় ৪টি ও রাজাখালীতে ১৭টি ভূমিহীন পরিবার এ সুবিধার আওতাভুক্ত ছিলো।

আরও পড়ুন