মিরসরাইয়ে অনুমোদনহীন শিশু খাদ্য কারখানায় অভিযান, কারখানা মালিকের কারাদন্ড

মিরসরাইয়ে অনুমোদনহীন একটি শিশু খাদ্য কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেলে বারইয়ারহাট পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কমফোর্ট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিচতলায় লোকচক্ষুর আড়ালে গড়ে উঠা ওই কারখানায় অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন। এসময় শিশু খাদ্য, শিশু খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত বিষাক্ত রং, মেশিন জব্দসহ কারখানার কোন অনুমোদন না থাকার দায়ে কারখানা মালিক ফেনী জেলার ফেনী সদর উপজেলার চরলাল কাটা মোবারকঘোনা গ্রামের মৃত হারেছের পুত্র আনোয়ার হোসেনকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।

সরেজমিনে কারখানার ভেতরে গিয়ে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন নামকরা কোম্পানীর পণ্যের মোড়কের আদলে মোড়ক ছাপিয়ে ৫ রকমের চিপস, রোবো ড্রিংকস আইস বার, ড্রিংকো, চানাচুর, লিচি, মুড়ি, তেঁতুল, জলপাই আচার, পাম অয়েলে কেমিক্যাল মিশিয়ে সয়াবিন তেল ও সরিষার তেল বোতলজাত করা হতো। শিশুদের লোভে ফেলতে চিপস্ ও আচারের মোড়কের ভেতর দেওয়া হতো নগদ টাকা।এসিআই কোম্পানীর ময়দা, চাষী চিনি গুঁড়া চালের প্যাকেট করা হতো ওই কারখানায়। মোড়কগুলোতে পন্য না থাকলেও মোড়কে ছাপা হয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ। চিপস্ ভাজার বড় কড়াইতে তেলের মধ্যে ভাসছে পোকামাকড়। অভিযানে জব্দ করা হয় ৩ টি মেশিন, ১২০ কেজি চিপস, ৪২০ লিটার পানীয়, ১৫০ লিটার সয়াবিন তেল, ৫ কেজি চাল, ২ কেজি কেমিক্যাল।

অভিযান চলাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিনকে সহযোগিতা করেন বারইয়ারহাট পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কান্তি চাকমা, নির্বাহী প্রকৌশলী সমর মজুমদার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম, প্রধান সহকারী আবদুল হক চৌধুরী, ফজলুল মুরাদ, ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরিফ উদ্দিন মাসুদ, ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিষ্ণু প্রসাদ দত্ত রতন, আশরাফুল ইসলাম, আবু নাঈম প্রমুখ। অভিযান শেষে ভেজাল শিশু খাদ্যগুলো প্রকাশ্যে ধ্বংস করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন জানান, ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদন ও কারখানার কোন অনুমোদন না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় কারখানার মালিক আনোয়ার হোসেনকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন