হাটহাজারীতে গাছে বেঁধে মুক্তিযোদ্ধাকে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার-১

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মন্দাকিনীতে একজন অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন চৌধুরীকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে এবং নির্যাতন করে দুর্বৃত্তরা সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করে জায়গা জবর দখল এবং দেয়াল নির্মাণ করে নিয়েছে।

এ ঘটনায় থানায় চার জনের সুনির্দিষ্ট নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েক জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করা হয়। এঘটনায় পুলিশ নাহিদা সোলতানা(৩৫) নামে এক গৃহবধুকে গ্রেফতার করা হলেও ঘটনার সাথে জড়িত অন্যরা পালাতক রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বুধবার সকালে একই বাড়ির লোকমান হাকিম এবং তার পরিবার কতিপয় দুর্বৃত্তকে ভাড়া করে ভিটের সাথে লাগোয়া মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন চৌধুরীকে নির্যাতন ও গাছের সাথে বেঁধে একটি জায়গা দখল ও ঐ জায়গায় পাকা দেয়াল নির্মাণ করে। এ ধরণের নির্মম ঘটনা সংঘঠিত হলেও স্থানীয় বিচারের আশায় এ মুক্তিযোদ্ধা ঘটনাটি প্রকাশ করেননি। তবে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে পড়লে উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে এবং তাৎক্ষণিক ভাবে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনাটি যাচাই বাছাই করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেন।

ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলম বলেন, গত বুধবার রাতে প্রশাসন সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মিত প্রাচীর ভেঙে দেওয়া হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আলম জানান, আমরা গত মঙ্গলবার রাতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা সহ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর ইউএনও মাধ্যমে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দুস্কৃতকারিদের কঠোর শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল আলম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতনের খবরটি জানতে পেরে রাতেই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ সহ আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আমি নিজে উপস্থিত থেকে নির্মিত দেয়ালটি ভেঙ্গে দিয়েছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন সবুজ বলেন, এই বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত লোকমানের স্ত্রী নাহিদা সুলতানাকে আটক করেছি এবং তাকে বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়। লোকমানসহ তার অন্যান্য সহযোগিদের আটক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।