বাঁশখালীতে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, অভিযোগের তীর শ্বশুড় বাড়ীর দিকে

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শ্বশুড় বাড়ি এলাকায় মো: জসিম উদ্দিন (৩০) নামে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মারা যাওয়া যুবক উপজেলার সরল ইউনিয়নের দক্ষিণ জালিয়াঘাটা ৭নম্বর ওয়ার্ড এলাকার কানুনগোখীল জোহরা বাপের বাড়ীর রহমত আলী মেস্ত্রীর পুত্র। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে একই ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় নিহত জসিমের শ্বাশুর বাড়ীর ১ কিলোমিটার পশ্চিমে তার ভায়রা ভাইয়ের বাড়ির পাশে খালের পাড়ে লাশটা পাওয়া যায় বলে জানান নিহতের পিতা রহমত আলী।

নিহতের পিতা রহমত আলী জানান, ‘আমার ছেলে জসিম ঘটনার দিন মাগরিবের সময় আমাদের বাড়িতে ছিল। পরে স্থানীয় হারুণ বাজারের সওদাগরের মাধ্যমে জানতে পারলাম, সে বাচ্চার জন্য নাস্তা নিয়ে শ্বশুড় বাড়িতে যায়। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান ২ মাস ধরে আছেন। রাত সাড়ে ৮টার সময় সরল বাজারে সিএনজি করে আমার ছেলের লাশ রেখে যায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা গাড়িতে করে পরে ছেলের লাশটা হারুণ বাজারে পৌছান। সেখান থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।’

তিনি আরও জানান, ‘বিশেষ প্রয়োজনে জসিম তার স্ত্রীর ১ভরি স্বর্ণ বন্ধক রাখেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। পরে তার স্ত্রী বাপের বাড়ীতে চলে যায়। এক পর্যায়ে ছেলে তার শ্বশুর বাড়িতে গেলে এ বিষয় নিয়ে মেয়ের মেজভাই সাহাব উদ্দিন আমার ছেলেকে গালমন্দ করে। এ নিয়ে ঘটনার আগে দুইবার মারধর করে। তবে ঘটনার দিন রাতে জসিমের লাশ তার শ্বশুড় বাড়ীর ১ কিলোমিটার পশ্চিমে তার ভায়রা ভাইয়ের বাড়ির পাশে খালে পড়ে আছে বলে জানান তাদের লোকজন।’

বাঁশখালী থানা পুলিশের ওসি তদন্ত এস.এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন আমরা পাইনি। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি। শুনেছি জসিমের সাথে তার স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতো। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বলা যাবে তার কিভাবে মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি আমরা গভীরভাবে তদন্ত করছি।

উল্লেখ্য, প্রায় ৬ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। সাংসারিক জীবনে সে এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক।

আরও পড়ুন