পুরান ঢাকার জোলাপট্টির জায়গা নিয়ে বিরোধঃ দুইজন ছুরিকাহত

রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার থানাধীন লালবাগ কিল্লার মোড় জোলাপট্টি এলাকায় ছুরিকাঘাতে দুই যুবক আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন ওয়ার্কশপ কর্মচারী ইসমাঈল হোসেন (৩০) ও লেগুনা চালক রমজান (২৯)।

বুধবার (২৬অক্টোবর) বেলা দেড়টার দিকে লালবাগ কাজি রিয়াজ উদ্দিন রোড জোলাপট্টি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আহত দুজনকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আহত ইসমাঈলের মামা মোঃ মামুন জানান, তাদের বাসা কাজি রিয়াজ উদ্দিন রোডে। ইসমাঈল একটি ওয়ার্কশপে কাজ করে। দুপুরে একই এলাকার ফয়সাল -ইমনসহ আরও কয়েকজন ইসমাঈলকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় লেগুনা চালক রমজান ও আহত হয়।

মামুন আরও জানান, অনেকদিন যাবৎ ফয়সাল জোলাপট্টি এলাকায় আমাদের জায়গা দখল করার চেষ্টা করছিল। এরা প্রয়াত দেলোয়ার হোসেন মিয়ার অনুসারী হবে হিসেবে পরিচিত। দখলদারিত্বে বাধা দিলেই লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করতো। আজকেও জোলাপট্টি এলাকায় ইসমাঈলের ওপর হামলা করে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান, লালবাগ কেল্লা এলাকায় ছুরিকাঘাতে দুইজন আহত হয়েছে। এতে ইসমাঈল ও রমজানের বাম পায়ে ছুরিকাঘাত রয়েছে। জরুরী বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

চকবাজার থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার ঘটনা শুনেছি। ঘটনার বিস্তারিত জানতে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ওই এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিয়ার মৃত্যুর পর জোলাপট্টির দখল নিতে একটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। মিয়ার জোলাপট্টির সম্রাজ্যে অবৈধ বিদুৎ ব্যবহার হতে শুরু করে নিষিদ্ধ পলিথিন ফ্যাক্টরীর বেশ কয়েকটি কারখানাও রয়েছে। যা গত ১০/১৫ বছর ধরে অবৈধভাবে বিদুৎ ব্যবহার করে ব্যাটারী গাড়ি চার্জ ও নিষিদ্ধ পলিথিন ফ্যাক্টরি চালিয়ে সরকারে কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল ফাঁকি ও নিষিদ্ধ পলিথিনে পরিবেশ ধ্বংসে ভুমিকা পালন করে আসছে। জোলাপট্টি এলাকায় অস্ত্রধারীদের দিয়ে পাহাড়া বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই জোলাপট্টি দখল করে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোলাপট্টিতে সরকারের খাস জমি দখলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপই নেয়া হয় না।স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ব্যবহার করে প্রয়াত মিয়া এই সরকারি জমি ও বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানার জায়গা দখল করে। তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ও শ্যালক এখন সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরী করে জোলাপট্টির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টার কারনে এই ছুরিকাহতের ঘটনা। এ এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

আরও পড়ুন