আনোয়ারায় অটোরিক্সায় ভাড়া নৈরাজ্য,যাত্রী হয়রানির অভিযোগ
আনোয়ারায় সিএনজি অটোরিক্সায় দ্বি-গুন ভাড়া বৃদ্ধি করায় যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন চলছে ভাড়া নিয়ে চালক-যাত্রীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা এমকি হাতাহাতিও। এতে করে যে কোন সময় অপ্রিতকর ঘটনাও ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করেন। যাত্রীরা জানায়, সিএনজি চালকরা এক প্রকার জিম্মি করে এই বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।
জানাযায়, উপজেলার চাতরী চৌমহনী বাজার থেকে রায়পুর ওয়াহেদ আলী চৌধুরী বাজারের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। এক মাস আগে এ সড়কে ভাড়া ছিল ৩০ টাকা, সড়কের বোয়ালীয়া মোড়ে আরসিসি ঢালাই কাজ করার ফলে ভিন্ন পথে গাড়ী চলাচল করলে চালকেরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১০ টাকা বৃদ্ধিতে ৪০ টাকা ভাড়া নেয়। কিন্তু সড়ক সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর হঠাৎ করে সিএনজি চালকেরা নতুন ভাড়া নির্ধারণ তালিকা গাড়ীতে ঝুলিয়ে দিয়ে ১২ কিলোমিটারের ভাড়া নির্ধারণ করে ৫০ টাকা এবং চাতরী থেকে গহিরা দোভাষীর বাজার ভাড়া নির্ধারণ করে ৬০ টাকা। এত অতিরিক্ত দ্বি-গুন ভাড়ায় যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি দেখা দেয় এমন কি প্রতিদিন চালক-যাত্রীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা. হাতাহাতির ঘটনা ও ঘটে।
চাকরীজীবি তৌহিদুল আলম বলেন, প্রতিদিন এই সড়কে যাতায়াত করতে হয়ে। সরকার তেলের দাম বৃদ্ধি করলেও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেনি, তাহলে কোন যুক্তিতে সিএনজি অটোরিক্সার ভাড়া দ্বি-গুন করা হয়!
এছাড়া এই সড়কে চলাচলকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বাড়তি ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিএনজি অটোরিক্সা চালক বলেন, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও স্টেশনে সিএনজি অটোরিক্সা চালক, প্রশাসন ও স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি সিন্ডিকেট করে স্টেশন ও গাড়ী পার্কিং করার জন্য আমাদের থেকে প্রতি ভাড়ায় ১০ টাকা ২০ টাকা করে আদায় করে। বাড়তি এই টাকা তাদেরও দিতে হয়।
আনোয়ারা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আবদুল্লাহ আল মুমিন বলেন, সরকারি নির্দেশনার বাহিরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কোন সুযোগ নেই। বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।