‘জীনের বাদশা’ কারাগারে
মিরসরাইয়ে মোবাইল ফোনে প্রতারণার মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরে ১ লাখ টাকার জন্য এসে জনতার হাতে ধরা পড়লেন কথিত জীবনের বাদশা রাকিব শেখ (২৪)। উপজেলার ১৩ নং মায়ানী ইউনিয়নের পশ্চিম মায়ানী দীঘিরপাড়া এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। পরে তাকে মিরসরাই থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। রাকিব শেখ গাইবান্দা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মারিয়া কাটুপাড়া এলাকার মৃত আলী আহম্মদ শেখের পুত্র। তাঁর কাছ থেকে একটি পিতলের মূর্তি, একটি তাসবিহ, একটি মোবাইল ও মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১০ আগস্ট মধ্যরাতে মায়ানী এলাকার প্রবাসী আনোয়ার হোসনের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিনের ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন দেন কথিত জীনের বাদশা রাকিব শেখ। এসময় তাকে ভাগ্যবতি বলে ৫,১০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরদিন ফোন করে স্বামী-সন্তান মারা যাওয়ার দিয়ে ও স্বর্ণের মূর্তি দেওয়ার কথা বলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবী করে। টাকার বিষয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে ওই মহিলা রাকিবের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ি ও আশপাশের লোকজনকে অবহিত করে। এরপর শনিবার (২০ আগষ্ট) স্বর্ণের মূর্তি দিতে এসে ও ১ লাখ টাকা নিতে এসে জনতার হাতে ধরা পড়েন কথিত জীনের বাদশা।
মায়ানী এলাকার বাসিন্দা ও সমাজসেবক আবুল হোসেন বাবুল বলেন, মোবাইলে আমার এলাকার এক মহিলার সাথে প্রতারণার বিষয়টি শোনার পর কথিত জীনের বাদশকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতা হয়। আগে থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি বিদ্যুতের খূঁটির নিচে টাকা রাখার থাকে। সেখানে স্বর্ণের মূর্তি রেখে টাকাগুলো বুঝে নেবে কথিত জীনের বাদশা। পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ধ্যায় টাকা নিতে আসলে তাকে সবাই ধরে ফেলে। এরপর থানায় খবর দিলে রাতে পুলিশ এসে নিয়ে যায়।
মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক খাইরুল বলেন, কথিত জীনের বাদশাকে আটক করে এলাকাবাসী আমাদের খবর দিলে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে একটি পিতলের মূর্তি, একটি তসবিহ, একটি মোবাইল ও মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। প্রতারণার বিষয়ে মায়ানী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য শহীদ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।