মায়ের হন্তারক মাঈনুলকে সাতকানিয়া থানায় হস্তান্তর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মাকে হত্যাকারী সন্তান মাঈনুলকে অস্ত্র মামলায় সাতকানিয়ায় থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ রাখার অভিযোগে মামলা করেছে র্যাব। এর আগে পটিয়া থানায় তার বড়বোন শায়লা শারমিন নীপা মাতৃহত্যার তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা এবং পটিয়া থানার উপ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম হাজারী বাদী হয়ে অস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়।
সাতকানিয়া থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চন্দন রায় জানিয়েছেন, গতরাতে র্যাব তাকে অস্ত্র মামলায় সাতকানিয়ায় থানায় হস্তান্তর করে। এর আগে র্যাব-৭ তাকে গত ১৭ অগাস্ট ঢাকাগামী একটি বাসে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে এবং তার দেখানো তথ্য মতে সাতকানিয়া থেকে অবৈধ পিস্তল উদ্ধার করে। র্যাব-৭ এর পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় সাতকানিয়া থানায় মামলা করেন।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মো: আবদুল হান্নান জানিয়েছেন, র্যাব হস্তান্তরের পর পুলিশ তাকে আজ শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করে ১০দিনের রিমান্ড চেয়েছে। আগামীকাল এ বিষয়ে শুনানী হবে বলে ওসি জানিয়েছেন। এ নিয়ে হত্যাকারী মাঈনুদ্দীন মো: মাঈনুলের বিরুদ্ধে পটিয়া ও সাতকানিয়া থানায় তিনটি মামলায় হয়েছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮/৯টি মামলা ছিল।
পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাকে হত্যা মামলায় পটিয়া থানায় শোন এরেস্ট দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১৬ অগাস্ট পারিবারিক বিরোধে পটিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্ষিয়ান রাজনীতিক শামসুল আলম মাস্টারের বড় ছেলে তার অস্ট্রেলিয়া প্রাবাসী মাকে পিস্তলের গুলিতে হত্যা করে। এক পর্যায়ে ঐ দিন বিকেলে সে তার কথিত এক বড় ভাইয়ের পরামর্শে দোহাজারীতে আশ্রয় নেয় এবং সাথে থাকা পিস্তল একটি গুদাম ঘরের মালপত্রের নিচে লুকিয়ে রাখে। পরদিন ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে সে ঢাকা পালিয়ে যাওয়ার জন্য ঢাকাগামী একটি বাসে বিনা টিকেটে উঠে পড়ে।