চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়ীয়া কলঘর এলাকায় মাজার পয়েন্ট সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা বিস্ফোরণে নিহত চালক সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে আব্দুস সবুর (৩৭) এর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকাল সাড়ে তিনটার সময় দূর্ঘটনার খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসকে পাঠিয়ে লাশ থানায় পাঠানোর ব্যবস্থাসহ তাৎক্ষণিকভাবে দূর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মা চাম্পা খাতুন, ভাই আব্দুল গফুর ও স্ত্রী রুমি আক্তারকে সান্ত্বনা দেন এবং আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে নিহতের স্ত্রীর হাতে নগদ পঁচিশ হাজার টাকা তুলে দেন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রিয়াদ হোসেন।
প্রসঙ্গতঃ সোমবার (২৪ মার্চ) বিকাল সাড়ে তিনটার সময় চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়ীয়া কলঘর এলাকায় মাজার পয়েন্ট সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে ডাম্পার ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই পুড়ে অঙ্গার হয়েছেন ওই অটোরিকশার চালক মো. আবদুস সবুর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, “কক্সবাজারগামী ওই ট্রাকের পেছনে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ছিল। পেছন থেকে পুলিশের একটি গাড়ি ধাওয়া করছিল সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিকে। দ্রুত পালাতে গিয়ে সামনের ট্রাকে ধাক্কা লাগে। তখনই সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই অটোরিকশার ভেতরে থাকা চালক পুড়ে অঙ্গার হয়ে যান।”
এদিকে ঘটনাস্থলে হাইওয়ে থানা পুলিশের উপস্থিতির কথা শোনা গেলেও দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ এরফান জানান, “দোহাজারী হাইওয়ে থানা পুলিশের কোনো টিম ওখানে যায়নি। আমরা যতটুকু জেনেছি, জেলা পুলিশের সার্জেন্ট গোলাম হোসেন সবুজের নেতৃত্বে বেলা দেড়টা থেকে সেখানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছিল।”
পুলিশের ধাওয়া খেয়ে বালুবাহী ট্রাকে সিএনজির ধাক্কা, চালকসহ সিএনজি পুড়ে ছাই