চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানস্থ শাহী ওয়ালীউল্লাহ ইনস্টিটিউটে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় আয়োজিত বিভাগীয় পর্যায়ের ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনব্যাপী বিভাগীয় ইনোভেশন শোকেসিং এর সমাপনী দিনে শ্রেষ্ঠ ৪ টি উদ্ভাবনী উদ্যোগকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এরমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শ্রেষ্ঠ উদ্যোগ ‘হাইদগাঁও স্মার্ট ভিলেজ’ প্রথম স্থান অধিকার করে। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও National Institute of Technology(NIT) Chittagong যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এবং তাদের শ্রেষ্ঠ উদ্যোগের নাম যথাক্রমে ‘নদী ও খাল-বিলের কচুরিপানাকে কাজে লাগিয়ে জৈবসার উৎপাদন করে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ ও ‘Agriculture Robot with environment monitoring’. রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় ‘নকল ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার ও রেজিস্ট্রেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ উদ্যোগের মাধ্যমে তৃতীয় স্থান এবং খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয় ‘ডিসি এডভেঞ্চার ও ইকো-ট্যুরিজম পার্ক’ উদ্যোগ নিয়ে চর্তুথ স্থান অধিকার করে।
মুখ্য আলোচক হিসেবে সেমিনার পেপার উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী এস. এম. খসরুল আলম কুদ্দুসি।
প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, এ ইনোভেশন শোকেসিং এর উদ্দেশ্য হলো আমরা স্মার্ট এবং আধুনিক হব। কোন নাগরিক সেবা গ্রহন করতে গিয়ে যাতে প্রতিবন্ধকতার কবলে না পরে সেজন্য নতুন নতুন ইনোভেটিব উপায় বের করার জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ ঘরে বসে টেকনোলজি ব্যবহার করে অনেক কাজ করে ফেলছে। বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের মধ্যে একটি হলো ই-নথি। এটার ফলে কাগজের ব্যবহার কমে যাচ্ছে এবং মানুষ কষ্টের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে। সরকার মোবাইলে নগদের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। মানুষ বিদ্যুৎ বিল বা গ্যাস বিল ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে পরিশোধ করে দিচ্ছে। তরুণ সমাজ বা বিভিন্ন দপ্তর তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সেগুলোর সমাধান বের করার জন্য তাদের কি ধরনের চিন্তাধারা রয়েছে তা প্রকাশ করার জন্যই এ ইনোভেশন শোকেসিং এর আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি নুরেআলম মিনা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বক্তৃতা করেন। এ সময় বিভিন্ন জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে আগত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, বিভাগীয় দপ্তর থেকে আগত কর্মকর্তাগণ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।