কেউ দেখাচ্ছে ই রেভিনিউ সিস্টেম, কেউ জানাচ্ছেন কৃষকের আঙ্গিনা সম্পর্কে, আর কেউ নিয়ে এসেছে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা, ভ‚মি ক্রয়/বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও ওয়ারিশ সনদ প্রদান, কেউ বা জানাচ্ছেন অনলাইলন বিলিং সিস্টেম সম্পর্কে, আবার কেউ স্মার্ট পল্ট্রি ফার্ম সম্পর্কে।
চট্টগ্রাম বিভাগের মাঠ পর্যায়ের এমন অসংখ্য উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় প্রশাসন চট্টগ্রামের আয়োজনে নগরীর শাহ ওয়ালীউল্লাহ ইনস্টিটিউটে দুই দিনব্যাপী বিভাগীয় পর্যায়ের “ইনোভেশন শোকেসিং আজ থেকে শুরু হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুহিদুল ইসলাম ইনোভেশন শোকেসিং উদ্বোধন করেন।
বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, সিটি কর্পোরেশনসহ চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলা, উপজেলা, সরকারি ও বেসরকারি মোট ১৯ টি প্রতিষ্ঠান ইনোভেশন শোকেসিং এ অংশ নিয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত সচিব বলেন, সুশাসনকে সুসংহত করতে কিছু টুল’স গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। যেমন সেবার মান উন্নয়ন, নাগরিক সেবাকে সহজ ও জনবান্ধব করা, সেবাগুলোকে জনগণের প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করা। টুল’সগুলোর মূল উপজীব্য হচ্ছে ইনোভেশন। এছাড়াও এসডিজি’র কথা আমরা সাবাই শুনেছি। এসডিজি ১৬.৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে সরকারের সেবায় জনগণের সন্তুষ্টি বিধান করতে হবে। এর অর্থ ইনোভেশন শুধু বাংলাদেশে নয় বৈশি^ক পরিমÐলেও স্বীকৃত। সুতরাং ইনোভেশন ছাড়া এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
অতিরিক্ত সচিব আরো বলেন, সরকার ইনোভেশনের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। ইনোভেশনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের ফলে সেবা সহজীকরণে অনেক কিছু উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে, এর সুফল পাচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণ। কৃষকের জানালা, জমির ই নামজারি, জমির খাজনা প্রদান, অনলাইন জিডি, ই-পাসর্পোট, ই-টিকেটিং, স্থায়ী বাসিন্দা সনদ অনলাইন ভেরিফিকেশন, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও হট লাইন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদেও ই-লার্নিং সিস্টেম ও ই-লার্নি সেন্টার স্থাপন সহ অসংখ্য মাধ্যমে দেশের জনগণ কম সময়ে, কম টাকায়, ঘরে বসে সেবা নিতে পারছে।
বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলামের সাভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিপিটি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক ও সিপি অধিশাখার যুগ্মসচিব মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। স্বাগত বক্তৃতা রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।