মোবাইল পেলে যে হাসি, তৃপ্তি দেয় দিবানিশি : এএসআই খালেক

গেল অক্টোবর মাসে চুরি ও হারিয়ে যাওয়া প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ৮টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে মোবাইল ফোন উদ্ধারের যাদুকর খ্যাত বাঁশখালী থানার চৌকস এএসআই আব্দুল খালেক। গত অক্টোবর মাসে বাঁশখালী থানার ওসি মোঃ কামাল উদ্দিন তাকে ১২টি হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারের দায়িত্ব দিয়েছেন। তার দায়িত্বের গত আড়াই বছরে ছিনতাই ও হারিয়ে যাওয়া প্রায় ১শ’র বেশি মোবাইল ফোন খুঁজে দিয়েছেন তিনি।

হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে তৃপ্তি পায় সে। মোবাইল ফোন হারানোর বিষয়ে জিডি হলেই থানায় ডাক পড়ে তার। এরপর তা উদ্ধারে নানা কৌশলে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাঠে নেমে পড়েন তিনি। বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। পরে চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনগুলো তাদের প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেন। হারানো মুঠোফোন হাতে পেয়ে প্রকৃত মালিকরা বাঁশখালী থানার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফিরিয়ে পাওয়া ছনুয়ার এক ব্যবসায়ী মোঃ কাশেম বলেন, ‘আমার দোকান থেকে ব্যবহারের শখের মোবাইলটি চুরি হয়ে যায়। কয়েকমাস আগে আমি বাঁশখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। বাঁশখালী থানার এএসআই খালেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমার ফোনটি উদ্ধার করে দেয়। আমি বাঁশখালী থানার ওসি মহোদয়ের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

এ বিষয়ে এএসআই আব্দুল খালেক বলেন, ‘বাঁশখালী থানায় ২০২১ সালে যোগদান করার পর থেকেই এই আড়াই বছরে এখন পর্যন্ত ১শ’র অধিক হারানো, চুরি, চিন্তাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি। হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধারের পর অনেকেই তাদের নিজস্ব ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। খুশি হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য হিসেবে তখন নিজে গর্ববোধ করি। প্রকৃত মালিকের মুখে হাসি দেখলে অনেক ভালো লাগে। এখানেই আমার বড় প্রাপ্তি ও তৃপ্তি।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এএসআই আব্দুল খালেক ভুক্তভোগীদের মোবাইল ফোন উদ্ধারে কাজ করেন। আমরা তাকে এসব কাজে উৎসাহ দেই। কারণ একটি মোবাইল ফোন একজন ভুক্তভোগীর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই ফোনটা উদ্ধার করে দিলে ভুক্তভোগীর খুশির অন্ত থাকে না।

উল্লেখ্য, কর্ম মূল্যায়ণে শ্রেষ্ঠ অফিসার ও হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর ও ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং শ্রেষ্ঠ সাজা ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে এ পর্যন্ত ৮ বারের মতো চট্টগ্রাম জেলায় সেরা এএসআই নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের বটতলী মাদ্রাসা পাড়ার ফরিদুল আলমের পুত্র। ২০০৮ সালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। বর্তমানে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানায় কর্মরত রয়েছেন। ২০২১ সালে তিনি এ থানায় যোগদান করেন।

আরও পড়ুন