মালয়েশিয়ায় বাঁশখালীর শহিদুলের মরদেহ উদ্ধার

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের কাছে কাম্পুং বারু সুঙ্গাই বুলো নামক স্থানের এক বাসা থেকে শহিদুল করিম (২২) নামে এক বাংলাদেশীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বালাই সুঙ্গাই বুলো থানার পুলিশ। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ঘুমের ঘোরে ভয় পেয়ে চিৎকার দিয়ে কিছুক্ষণ পর মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিৎ করেন মালয়েশিয়া প্রবাসী তার আরেক প্রতিবেশী আলী আক্কাস।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় একটা চিৎকার দেয় শহিদুল। তার চিৎকারে পাশে থাকা অন্যান্যরা জেগে উঠে। পরে তার কাছে গিয়ে দেখলে হঠাৎ একটা ঝাঁকুনি দিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

প্রবাসী আলী আক্কাস বলেন, ওইদি সকাল দশটার দিকে তার সাথে থাকা বাসার অন্যান্যদের ফোন পেয়ে বালাই সুঙ্গাই বুলো থানার পুলিশ বাংলাদেশির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

মারা যাওয়া মালয়েশিয়া প্রবাসী শহিদুল করিম চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব-পূঁইছড়ি ৪নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাড়ার নুরুজ্জামালের পুত্র।

মালয়েশিয়া থেকে আলী আক্কাস আরো জানান, গত ছয়মাস আগে শহিদুল মালয়েশিয়া আসেন। তাকে আমিই নিয়ে আসি। এখানে কাম্পুং বারু সুঙ্গাই বুলো নামকস্থানে একটি ফার্ণিচার কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন তিনি। তার সাথে একই এলাকার চারজন একসাথে থাকেন। আমি তাদের বাসা থেকে প্রায় ৪০-৪৫ কিলোমিটার দূরে থাকি। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পৌছাই। তবে তাদের মতে, রাতে ঘুমে আচ্ছন্ন সবাই। হঠাৎ করে সে চিৎকার দিলে ঘুম ভাঙ্গে তাদের। ধারণা করা হচ্ছে স্ট্রোক করে নতুবা ঘুমের ঘোরে ভয় পেয়ে তিনি মারা যান।

নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ হেলালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই শহিদুল আজ থেকে ছয়মাস আগে মালয়েশিয়ায় যান। তার সাথে একই বাসায় চারজন একসাথে থাকে। সবাই আমাদের এলাকার। তারা সকালে ফোন করে আমার ছোটভাই মারা যাওয়ার বিষয়টি জানান।

ময়না তদন্ত শেষে শহিদুলের মৃতদেহ কোম্পানীর পক্ষ থেকে প্রক্রিয়া শেষ করে বাংলাদেশে তার পরিবারের কাছে লাশ পাঠিয়ে দিবে বলে জানান প্রবাসী আলী আক্কাস।

আরও পড়ুন