বাঁশখালী ইকোপার্কে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মিথ্যা প্রলোভনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়ন ও জলদী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন শীলকূপ আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল খালেক (২৬), সাহাব উদ্দিন প্রকাশ মিয়া (২৪) ও অপরজন পৌরসভার দক্ষিণ জলদির মোঃ মনজুর আহমদ (৪০)।
জানা যায়, উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের বাঁশখালী ইকোপার্কের পশ্চিমে জঙ্গল শীলকূপ এলাকার ভেতরে নির্জন জঙ্গলে টমেটো ক্ষেতে নিয়ে কিশোরীকে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা গণধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় ধর্ষিতার পিতার দায়ের করা মামলায় ৮/১০জনকে আসামী করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া আসামীদের মধ্যে ইতোমধ্যে আবদুল খালেক আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ধর্ষিতা ওই কিশোরীর পিতা বলেন, ‘আমার মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। মামলার ১নম্বর আসামী আব্দুল খালেক স্ক্রাপ ব্যবসা করতো। ব্যবসার সুবাদে গিয়ে আমার মেয়ের ফোন নম্বর নেয়। সে থেকে ফোনে কথা বলে ৪ মাস তাদের সম্পর্ক হয়। সর্বশেষ গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আমার মেয়ে স্কুলে প্রাইভেট পড়তে গেলে ফোন করে কোর্টে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উপজেলা সদরে নিয়ে যায়। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় আমার মেয়েকে ইকোপার্কে বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ইকোপার্কের সামান্য পশ্চিমে এনে খুন, জখমের ভয় দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় মামলার অন্যান্য আসামীরাও জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ও ধর্ষণে সহায়তা করে।’
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুধাংশু শেখর হালদার জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ওই কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলে সোপর্দ করা হয়েছে।