দালালমুক্ত ভূমি অফিস নিশ্চিতে সচেতনতা জরুরী : এসিল্যান্ড বাঁশখালী

জনগণ সচেতন না হওয়াতে প্রতিনিয়ত দালালের খপ্পরের পড়ে নানা হয়রানী ও সরকারী যথাযথ সেবাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে ভূমি অফিসে এ ভোগান্তির শিকার অনেকেই। অনেকের ধারণা ভূমি অফিস মানেই ভোগান্তির আখড়া! জনসাধারণের মনে দীর্ঘদিন বাসা বেঁধে থাকা এই ধারণা পাল্টে দিতে কাজ করছেন বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল খালেক পাটোয়ারী। ভূমি কর্মকর্তার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে ভোগান্তি ছাড়াই বাঁশখালীবাসী এখন সব ধরনের ভূমি বিষয়ক সেবা পাচ্ছেন। স্বয়ং তিনি দ্বিতীয়তলার অফিস থেকে নেমে ভূমি অফিসে আসা সাধারণ জনগণের সাথে একান্তে কথা বলেছেন। সেবাপ্রার্থিদের ভূমি সংক্রান্ত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।

ভূমি অফিস নিয়ে নেগেটিভ ধারণা সেবাগ্রহিতাদের মন থেকে দূর করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন বাঁশখালী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আবদুল খালেক পাটোয়ারী। সেবা গ্রহিতাদের জন্য ভোগান্তি ছাড়া কাঙ্খিত সুবিধা নিশ্চিত করতে কর্মরত সকলকে দিয়েছেন কঠোর নির্দেশনা। প্রতিনিয়ত তাঁর অফিসে সেবাগ্রহিতার সাথে সরাসরি কথা বলে দিচ্ছেন ভূমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান ও পরামর্শ।

ভূমি অফিসের তথ্য মতে, আবদুল খালেক পাটোয়ারী ৮ আগষ্ট’২৩ সালে বাঁশখালী ভূমি অফিসে যোগদান করেন। যোগ দিয়েই তিনি জনদুর্ভোগ নিরসনের কাজে হাত দেন। সম্প্রতি বাঁশখালী উপজেলায় অবৈধভাবে দখল করা জলকদর খাল উদ্ধারে সীমানা নির্ধারণের কাজ করে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল খালেক পাটোয়ারী বলেন, ‘আমারা সরকার নির্ধারিত মূল্যেই নামজারি করছি। আমি চেষ্টা করছি ভূমি অফিসকে সম্পূর্ণ দালালমুক্ত করতে। কেউ দালালের দ্বারা প্রতারিত হবেন না। দালাল ধরে ভূমি অফিসে আসার কোন প্রয়োজন নেই। আমি সার্বক্ষণিক ভূমি অফিসে আছি সেবা নিশ্চিৎ করার জন্য। আমার অফিস সবার জন্য উন্মুক্ত। সরাসরি ভূমি অফিসে এসে সেবাগ্রহণ করুন। ভূমি অফিসের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করি। এ ব্যাপারে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’

আরও পড়ুন