দীর্ঘ ১১ বছর প্রবাসে থেকে সর্বশেষ কফিনে বন্দী হয়ে দেশে ফিরলেন বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নের গুইল্যাখালী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আইনা বাপের বাড়ির মৃত ছৈয়দুল হকের দ্বিতীয় পুত্র সন্তান মালয়েশিয়া মোঃ হেলাল উদ্দিন (৩২)। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কফিনে ভর্তি তার লাশ এসে পৌঁছে। রাত ৩টায় বিমানবন্দরে তার বড় বোনের জামাই মোঃ কামরুল ইসলাম লাশটি গ্রহণ করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হেলাল উদ্দিন তার কর্মস্থল মালয়েশিয়ার বেনথংয়ে ড্রেনে কাজ করার সময় পাহাড় ধসে মাটি চাপায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে স্থানীয় বেনথং হসপিটালে নিয়ে গেলে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মালয়েশিয়া প্রবাসী তার সম্পর্কের চাচাত ভাই মোঃ ইলিয়াছ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে মা-বাবা ও ছয় ভাই-বোনের অভাবের সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে বিদেশে পাড়ি দেন মোঃ হেলাল উদ্দিন। মালয়েশিয়ায় তিনি নির্মাণ শ্রমিকের (কনস্ট্রাকশন) কাজ করতেন। তার উপার্জিত অর্থে পরিবারে সচ্ছলতা ফেরে। প্রবাসে থাকাকালীন সে মা-বাবাকে হারান। গত ৬মাস আগে সে দেশে এসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সর্বশেষ গত ৭ জুন পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আবারও মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান।
বোন জামাই মোঃ কামরুল ইসলাম জানান, গত রাত ১২ টা ৫৫ মিনিটে মালয়েশিয়ার একটি বিমানে হেলালের কফিনবন্দি লাশ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছায়। রাত ৩টায় আমাদেরকে লাশ বুঝিয়ে দেয় বিমান কর্তৃপক্ষ। পরে লাশ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রামে পৌঁছে বিকেলে গ্রামের বাড়ির গুইল্যাখালী স্থানীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।