তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে সিএনজি চোর সিন্ডিকেটের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশের চৌকস একটি আভিযানিক টিম। আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে গ্রেপ্তারকৃত আরো দু’জন আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এ সময় চুরি হওয়া সিএনজি উদ্ধার করেন থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম শহরের সাতকানিয়া থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আন্তঃজেলা সিএনজি চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার পূর্বক সাতটি চোরাই সিএনজি উদ্ধার করেন। বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন পিপিএম’র নির্দেশনায় থানার সেকেন্ড অফিসার রাজীব চন্দ্র পোদ্দারের তত্ত্বাবধানে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ফজল কাদের’র পুত্র মো. মহিউদ্দিন (৩০), সাতকানিয়া থানাধিন মধ্যম কাঞ্চনার ছগির আহমদের পুত্র জিয়াউর রহমান (২৭)। বিজ্ঞ আদালতে ওই আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বায়োজিদ থানাধিন পারভেজ মোশারফ (২৪), মিরসরাই থানাধিন মো. আলী আজগর (৪০) কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন- ‘গত ১৪ জুন উপজেলার কাথরিয়া ইউনিয়নের আবদুছ ছবুর বাদী হয়ে চোর চক্রের সদস্য মহিউদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে সিএনজি চুরি সংক্রান্তে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে আসামীদ্বয়ের তথ্য মোতাবেক তাদের হেফাজতে থাকা উক্ত মামলার চোরাই সিএনজি সহ ৭টি সিএনজি সীতাকুন্ড থানাধীন বারবকুন্ড ইউপি এলাকা হতে উদ্ধার করা হয়।’ তিনি আরো বলেন, সিএনজি চুরির সাথে বিশাল একটা সিন্ডিকেট জড়িত। আমরা এদের বিরোদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।