আনোয়ারায় বন্ধুকে ধার দেয়া টাকা ফেরত পেতে মামলা

বন্ধু মোকাররম হোসেনে (৩৫) ও নাহিদা আক্তার সুইটি (২২( দম্পতিকে টাকা ধার দিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাদেরই আরেক বন্ধু মহিন উদ্দিন। ধারা দেয়া সেই টাকা ফেরত পেতে ইতোমধ্যে তিনি নাহিদা আক্তার সুইটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, মোকাররম হোসেনে ও নাহিদা আক্তার সুইটির প্রথমে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে তাদের কেনা জমির দলিলপত্রে মহিনকে স্বাক্ষী হিসেবে রাখে। সম্পর্কের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মোকাররম ও তার স্ত্রী নাহিদা আকতার সুইটি জমি কেনার জন্য চেক দিয়ে মহিনের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ধার নেন। পরে মহিন ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন, ব্যাংকে চেক পাস হওযার মতো টাকা নেই। বিষয়টি জানার পর স্বামী-স্ত্রী মহিনকে আশ্বস্থ করেন ফেব্রুয়ারী মাসে পাওনা টাকা ফিরিয়ে দিবেন। কিন্তু টাকা ফিরিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও স্বামী-স্ত্রীর বিরোধের জেরে আটকে পড়ে ধারের ২০ লাখ টাকা। আর কোনো উপায় না পেয়ে গত ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম আদালতে চেক প্রতারণার মামলা করেন মহিন।

ঘটনাটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. নাসির উদ্দীনের ছেলে মহিন উদ্দিন নামে এক যুবকের সঙ্গে। এ ঘটনায় গত ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নাহিদা আকতার সুইটির বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলা করে বিপাকে পড়েছেন সে যুবক। তাদের স্বামী-স্ত্রীর বিরোধে আটকে গেছে তার পাওনা টাকা। এছাড়াও মামলার নোটিশ পাওয়া মাত্রই উল্টো আদালতে মহিন উদ্দিন ও তার স্বামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা করেন মোকাররম হোসেনের স্ত্রী নাহিদা আকতার সুইটি।

তবে পাওনা টাকার বিষয়ে অভিযুক্তের স্বামী প্রবাসী মোকাররম হোসেন স্বীকার করলেও অস্বীকার করছেন স্ত্রী নাহিদা আকতার সুইটি। তাদের স্বামী-স্ত্রীর বিরোধকে কেন্দ্র করে টাকা না দেয়ার জন্য নাটক সাজিয়েছেন বলে দাবী করছেন মামলার বাদী মহিন উদ্দিন।

অভিযুক্ত সুইটি উপজেলার বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের আবদুল লতিফের মেয়ে ও বরুমচড়া ইউনিয়নের বরুমচড়া গ্রামের মোকাররম হোসেনের স্ত্রী।

মামলার বাদী মহিন উদ্দিন জানান, বন্ধু মোকাররম হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সে প্রবাসে থাকাকালীন উত্তর বন্দর এলাকার মহালখাঁন বাজারে ২ গন্ডা জমি কেনার জন্য টাকার প্রয়োজন পড়লে আমাকে জানানোর পর আমি আমার আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ধার করে ২০ লাখ টাকা ব্যবস্থা করে দিই। মোকাররম বিদেশ থাকায় তার স্ত্রী সুইটি একটি চেক দেন। এখন টাকাগুলো চাওয়ায় তারা ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন আমাকে।

অভিযুক্তের স্বামী প্রবাসী মোকাররম হোসেন টাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার জমি কেনার জন্য টাকাগুলো মহিনের কাছ থেকে নিয়েছিলাম। তখনই আমি প্রবাসে থাকার কারণে আমার স্ত্রী একটি চেক দিয়েছিলো তাকে। আমি এখনও প্রবাসে, তবে টাকাগুলো আমার স্ত্রীকে ফেরত দিতে বলেছিলাম।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মুহাম্মদ হাছান বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আদালতের নির্দেশে তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন