নানা আয়োজনে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে জাতীয় শোক দিবস পালন
নানা আয়োজনে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে পালিত হলো স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। শোক দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পাতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো ব্যাজ ধারণ, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, খতমে কোরান, মিলাদ, দোয়া মাহফিলসহ বিশেষ আলোচনা সভা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ আরেফিন নগরের হল রুমে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর চৌধুরী, কলা, সমাজবিজ্ঞান এবং আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শরীফুজ্জামান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইসরাত জাহান, আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শওকতুল মেহের, বিভিন্ন বিভাগের উপদেষ্টা, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ শিক্ষার্থীরা।।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অভিন্ন সত্তা, তিনি ছিলেন জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার। তাঁর অতুলনীয় গণমুখী নেতৃত্বে বাঙালি জাতির অধিকার আদায় ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ৪৭ এর পর থেকে জনগণের অধিকার আদায়ের সব আন্দোলনেই তিনি ছিলেন সোচ্চার। ৭১-এর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়েছিলো এই দেশের আপামর মানুষ। জাতির দুর্ভাগ্য যে, আমরা এ মহান নেতাকে হারিয়েছি কিছু স্বার্থন্বেষী ও বিপদগামী বিশ্বাসঘাতকদের কারণে। একটি সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্র ও জাতির অগ্রযাত্রাকে চিরতরে নিস্তব্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড। প্রকৃত বাঙালি কখনো দেশপ্রেমিক নেতাকে হত্যা করতে পারে না, যারা এ ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে জড়িত তারা সত্যিকার অর্থে স্বার্থলোভী,পাকিস্তানের দোসর ও জাতির শত্রু।
তাঁরা আরও বলেন, ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধুর শোকের দিন। ভাগ্য খারাপ আমরা হারিয়েছি জাতির পিতা এবং বিশ্ব হারালো মহান এক নেতাকে। যদি মহান এ নেতা বেঁচে থাকতেন তাহলে বাংলাদেশ অনেক উন্নত দেশকে আজ ছাড়িয়ে যেতো। আমাদের উচিৎ মহান এ ব্যক্তিত্বকে কোনো রাজনৈতিক স্বার্থে বিভক্ত না করে শ্রদ্ধাভরে তার দেশপ্রেমকে স্মরণ করা। যদি তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় তাহলে এ আত্মত্যাগ প্রকৃত মর্যাদা পাবে।