চুয়েটে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয় বলছেন, “বঙ্গবন্ধু অবহেলিত ও শোষিত বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন, অথচ তাঁকেই এই জাতির হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে। বিগত দেড় দশক আগেও বাংলাদেশ একটা দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ছিল। সেই দৈনদশা থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গিয়েছে। দেশকে তিনি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় দেশের সীমিত সম্পদের সুষম ব্যবহার ও টেকসই উন্নয়নের পথে দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।”
তিনি ১৫ আগস্ট (সোমবার) ২০২২ খ্রি. সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান, প্রভোস্টগণের পক্ষে শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি আমিন মোহাম্মদ মুসা, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পুরকৌশল বিভাগের ছাত্রী সুমাইয়া সাদিয়া তোহা।
অনুষ্ঠানমালা সঞ্চালনায় ছিলেন ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সম্পদ ঘোষ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পরে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ক্বারী নুরুল্লাহ। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে অনুষ্ঠিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। পরে চুয়েট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাদ আছর বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এর আগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর শুরু হয়। পরে সকাল ০৯.০০ ঘটিকায় চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শোক দিবসের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড.ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম সঙ্গে ছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, সেন্টার চেয়ারম্যানগণ, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন ও চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় স্মারক বৃক্ষরোপণ করা হয়।