মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি কার্যকরের পর থেকে পর্দার আড়ালে চলে যাওয়া জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ফের সক্রিয় হচ্ছে। সম্প্রতি নানা ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে নেতাকর্মীদের।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি যখন নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে, সে সময় জোটসঙ্গী জামায়াতের রাজপথে কর্মসূচি বাড়ানোর বিষয়টিও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদিও সেসব কর্মসূচি হলো নিতান্তই ফটোসেশন। ভোরে ঝটিকা মিছিল বের করে কিছু ছবি তুলে দ্রুত সটকে পড়ছে তারা। তারপর ফেসবুকে সেসব ছবি প্রকাশ করে লোকজনের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
গত বছরের মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতীয় সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদির সফরে ঘিরে যখন ডানপন্থী বিভিন্ন দল রাজপথে সহিংসতা করেছিল, সে সময় নিজেদের ব্যানার ছাড়া জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি পুলিশের তদন্তে বের হয়ে এসেছিল।
এর আগে, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জামায়াত-শিবির যখন রাজপথে নানা কর্মসূচি দিয়ে সক্রিয় থেকেছে, সে সময় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সরকারি সম্পত্তির পাশাপাশি বেসরকারি স্থাপনায় বেপরোয়া হামলায় জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি হয়। যদিও ৯ বছর আগে সরকারপতনের আন্দোলন ভেঙে পড়লে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা একেবারে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। দলের কার্যক্রম তখন চলতে থাকে গোপনে। প্রায় এক দশক ধরে খুলছে না বড় মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বন্ধ আছে নয়াপল্টনের ছাত্র শিবিরের কার্যালয়ও।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে ফের জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পর্দার আড়াল থেকে বের হচ্ছে। বিএনপিসহ দেশবিরোধী শক্তিকে সমর্থন ও শক্তি জোগাতে দলটি নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে। জামায়াত-শিবির জনবল সরবরাহসহ বিভিন্ন দলে অর্থ সরবরাহও করছে।