আগামী নির্বাচনে ইসরায়েলকে পাশে চায় বিএনপি
পদ্মাসেতুর কারণে পদ্মাপাড়ের ৩ কোটি মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। ফলে পদ্মাসেতু নিঃসন্দেহে দ্বাদশ নির্বাচনে বড় ভোট ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই ভয়ে নড়েচড়ে বসেছে বিএনপি এবং দ্বাদশ নির্বাচনে ইসরায়েলের সহযোগিতা চাচ্ছে দলটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর থেকেই বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের ভেতর ভয় ঢুকে গেছে। এ কারণে আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে ষড়যন্ত্রের নতুন জাল বিস্তার করতে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে পাশে চাইছে পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান।
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের যে প্রস্তাব অনুসারে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা, সেই একই প্রস্তাব অনুসারে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রেরও প্রতিষ্ঠা পাওয়ার কথা। কিন্তু সাড়ে ছয় দশক পর ইসরায়েল এখন বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ হিসেবে গড়ে উঠলেও ফিলিস্তিনবাসীর জন্য স্বাধীনতা অধরাই রয়ে গেছে। এ কারণে পৃথিবীর অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন দিতে চায় না।
বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, ক্ষমতায় আসতে এবার সেই ইসরায়েলকে পাশে চাইছে বিএনপি। এরই মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে বিএনপিতে চলছে গোপন আলোচনা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই বিএনপি ইসরায়েলের সঙ্গে হাত মেলাতে চায়।
বিএনপির ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র অনুযায়ী বৈশ্বিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তন দ্রুত হওয়ায় বিএনপিও সেই পরিবর্তনের সাথী হতে চায়। ফলে ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে বেশিরভাগ মুসলিম দেশের যোগাযোগ না থাকলেও ধীরে ধীরে সারাবিশ্বেই ইসরায়েল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠায় রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সখ্য গড়তে চায় বিএনপি।
ইসরায়েলের সহায়তায় দেশীয় ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে স্বরূপে ফিরতে চায় দলটি। এছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও চীনের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রের ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। তাই ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে মুখ ফিরিয়ে নেয়া শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর বন্ধু তালিকায় পুনরায় স্থান পেতে চায় বিএনপি।
জানা যায়, ইসরায়েলের সঙ্গে গোপন বন্ধুত্ব স্থাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে চলতি মাসের শেষে তারেক রহমানের সঙ্গে আলাপ করবেন বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা। এর বাইরে বিএনপি নেতারা ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের আঞ্চলিক এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন বলেও জানা গেছে।
প্রয়োজনে বিএনপির দু-একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা বাংলাদেশে গোপনে ইসরায়েলের বিজনেস ও পলিটিক্যাল ফ্রন্টম্যান হিসেবেও কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে বাংলাদেশের বড় একটি অংশ ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে ইসরায়েল বিরোধী, তাই ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্বের বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত গোপনে কাজ করতে চান বিএনপি নেতারা।