প্রধানমন্ত্রীর সাথে ইসহাক মিয়ার পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা গণপরিষদ সদস্য ও সাবেক এম পি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইসহাক মিয়ার পরিবার।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী)গণভবনে সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রী মরহুম ইসহাক মিয়ার পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং স্মৃতিচারণ কারেন। এসময় পরিবারের পক্ষে ইসহাক মিয়ার ছেলে আলহাজ্ব মোহাম্মদ রেজওয়ান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মহিলা সংরক্ষিত কাউন্সিলর জাহেদা বেগম পপি, মরহুম ইসহাক মিয়ার নাতি লিও মোহাম্মদ সাফায়েত মারুফ আবির, সাফায়েত জামিল এবং জহির উদ্দিন বাবর উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই বর্ষীয়ান রাজনীতিকের মৃত্যু হয়। তিনি ৮৮ বছর বেঁচে ছিলেন।
মরহুম ইসহাক মিয়া ১৯৫৪ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৫৬ সালে আগ্রাবাদে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে আগ্রাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনসহ ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালের গণপরিষদ সদস্য ইসহাক মিয়া সর্বশেষ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ছিলেন। ১৯৮৬ সালে তিনি চট্টগ্রাম বন্দর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দল ক্ষমতায় আসার পর সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তিনি অগ্রণী ভুমিকা রেখেছিলেন এবং মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আ জ ম নাসিরের মেয়র নির্বাচনে নাগরিক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন।
মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া ১৯৩২ সালে ১মে চট্টগ্রামের উত্তর আগ্রাবাদের হাজী পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি ৭ মেয়ে ও ৩ ছেলে সন্তান রেখে যান।