তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সকল শ্রেণি পেশার জনগনের উন্নয়নে বিশ্বাস করে। গত সাড়ে তেরো বছরে এদেশের প্রান্তিক ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর যে পরিমান অধিকার আদায় ও ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে তা আর কখনো হয়নি। আগে অনেকেই ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতায় ছিল কিন্তুপাসর্পোটে কিংবা সরকারি ফর্মে তাদের তৃতীয় লিঙ্গ লেখার সুযোগ কেউ দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে তৃতীয় লিঙ্গ লেখার স্বীকৃতি দিয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শেখ রাসেল চত্বরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের জন্য বই ও মা ও শিশু হাসপাতালের জন্য ঔষধ হস্তান্তর এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

আজ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শেখ রাসেল চত্বরে জেলা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের জন্য ৩ শত ৫০টি বই বিতরণ ও মা ও শিশু হাসপাতালের জন্য ঔষধ হস্তান্তর এবং ৪ (চার) শত জন বীর মুক্তিযোদ্ধার মাঝে ৪ লক্ষ টাকার চেক ও ৩ (তিন) শত ১০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, যে শিশুদের কথা কেউ ভাবেনি, তাদের কথা ভেবছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন সরকারি অফিসে চাকরি করছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। ব্যাংক থেকে প্রনোদনা দান ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সমাজের সকল স্তরের উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে এগিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, একসময় কোন ঘরে অটিস্টিক শিশু থাকলে লুকিয়ে রাখতো। আর এখন সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অটিস্টিক শিশুদের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ও প্রধানমন্ত্রীর দেশপ্রেমের ফলে অটিস্টিক শিশুরা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া অঙ্গন থেকে পদক অর্জন করে বিশে^র দরবারে বাংলাদেশের নাম মর্যাদাপূর্ণ স্থানে অধিষ্টিত করেছে। এটি কেউ কখনো ভাবেনি। একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ উদ্দীপনার প্রেক্ষিতে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সহযোগীয়তায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এর সভাপতিত্বে সাবেক মেয়র আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি মাহাবুবুল আলম, মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সৈয়দ মোরশেদ হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সারওয়ার কামাল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদসহ প্রেস ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন