পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারই ২০১৮ কোটা প্রথা বাতিল করেছিল, কিন্তু হাইকোর্ট সে কোটা প্রথাকে পুর্নবহাল করে। রাষ্ট্রপক্ষই আবার আপিল বিভাগে গিয়ে সেই রায়ের উপর স্থাগিতাদেশ নিয়ে আসে। অর্থাৎ সরকার যে কোটা প্রথা বাতিল করেছিল সেটি এখনো বলবৎ রয়েছে। কিন্তু আপিল বিভাগে যেহেতু শুনানী হবে তাই প্রধানমন্ত্রী এ ইঙ্গিত দিয়েছিল যে রাষ্ট্রপক্ষ কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের পক্ষেই বলবে। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টে গিয়ে আপিল করার মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের পক্ষে কথা বলেছে।
মন্ত্রী বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে বিএনপি-জামাত ঢুকেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাত থেকে এ আন্দোলনকে কেড়ে নিয়ে বিএনপি-জামাত তাদের নিজস্ব ভাবধারায় পরিচালিত করছে। আজকে দেশে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা ব্যহত হচ্ছে। পুলিশের উপর হামলা থেকে শুরু করে গণমাধ্যমের উপর আক্রমন, তাদের গাড়ি পোড়ানোসহ যত ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হয়েছে এ কাজগুলো বিএনপি-জামাতরাই করেছে।
বৃহস্পতিবার নগরীর জামালখান প্রেস ক্লাবের সামনে কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী বিএনপি, জামাত-শিবিরের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর-দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠন আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফ্র আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য শামীমা হারুন লুবনা, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম. এ. সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মু্িক্তযোদ্ধাদের সন্তান, মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী, যুব ও ছাত্রলীগসহ অসংখ্য সাধারণ জনগণ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছে যদি কোটা আন্দোলনকারীরা তাদের বক্তব্য সরকারের কাছে তুলে ধরতে চায় তাহলে আজকে বসতে পারে। এরফলে কোমলমতী শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরত অবস্থা থেকে তাদের ঘরে ফিরে যেতে পারবে। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে বিএনপি নেতাদের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে তোমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে ঢুকে পড়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করো। আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী কোমলমতী শিক্ষার্থীদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। একারণে তিনি ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিলেন। এবারও তিনি কোটা বিরোধীদের পাশেই থাকবেন।