চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে ৩১তম মাসব্যাপী চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (সিআইটিএফ) বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রæয়ারী) বিকাল ৪টায় নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে উদ্বোধন হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধক হিসেবে বেলুন উড়িয়ে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এমএ লতিফ এমপি, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার রাজীব রঞ্জন এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসি সভাপতি মাহবুবুল আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ। স্বাগত বক্তব্য দেন সিআইটিএফের চেয়ারম্যান, চেম্বারের পরিচালক একেএম আকতার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ডিজি, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালকরা।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি বলেন, মেলায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন থাকবে। এতে বাতিঘরের সহায়তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ও প্রকাশনা থাকবে। এবার চার লাখ বর্গফুটের সিআইটিএফে ১৬টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৫৬টি প্রিমিয়ার স্টল, ৯৪টি গোল্ড, ৪৮টি মেগা স্টল, ১১টি ফুড স্টল, ৩টি জোনে ৪শ স্টলে ৩ শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এর মধ্যে ভারত, থাইল্যান্ড, ইরানের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা পণ্য প্রদর্শন করবে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। জনপ্রতি টিকিটের ম‚ল্য ২০ টাকা। স্কুল শিক্ষার্থীদের মেলায় প্রবেশ করতে কোনো প্রবেশ ফি লাগবেনা। ইতোমধ্যে স্কুল সমূহে শিক্ষার্থীদের জন্য কার্ড পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, শতবর্ষী বাণিজ্য সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বার ১৯৯৩ সাল থেকে দেশি পণ্যের প্রচার প্রসারে সিআইটিএফ আয়োজন করে আসছে। এবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা পণ্য প্রদর্শন করবেন। মেলায় দেশীয় পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ যেমন তৈরী হয়, তেমনি বিদেশী পণ্যের সাথে আমাদের গুণগত মানও যাচাই করা যায়। মেলাকে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের অংশ হিসেবেও মন্ত্রী দাবি করেন।
এবার মেলায় অংশগ্রহণকারী ও আগত দর্শনার্থীদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মেলা প্রাঙ্গনে চৌকশ পুলিশ বাহিনী ৩ (তিন) শিফটে বিভক্ত হয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগণও বিশেষভাবে নিরাপত্তা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গনে সুদক্ষ প্রাইভেট সিকিউরিটির সদস্যগণ ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মেলার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
অনাকাংখিত দুর্ঘটনা মোকাবেলায় তাৎক্ষণিক অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে গাড়িসহ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম মেলা চলাকালীন সময়ে সর্বদা মেলা প্রাঙ্গনে অবস্থান করবে।মেলার মাঠের উত্তর-পশ্চিম কর্ণারে পুরুষদের জন্য বিশাল জায়গাজুড়ে মসজিদ ও দক্ষিণ-প‚র্ব কর্ণারে মহিলাদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুদের বিনোদনের জন্য মাঠের দক্ষিণ পার্শ্বে বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। মেলায় দর্শণার্থীদের বসার সুবিধাসহ ফোয়ারা সমৃদ্ধ একটি ওপেন প্লাজা রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ৩১তম আসর বসছে বৃহস্পতিবার