এবারের রোডমার্চেও বরাবরের মতো মোশারফ হোসেন দীপ্তির নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল নিজেদের শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান জানান দিতে সক্ষম হয়েছে। শুধু এবারের রোডমার্চ নয়, অতীতের যেকোনো মহাসমাবেশ, ছোট সমাবেশ, কেন্দ্রীয় কর্মসূচী সবকিছুতেই যুবদলের বর্ণিল উপস্থিতি জানান দেয় তারা কতটা গোছালো ও সুসংগঠতি সংগঠন। আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য নানা থিম আর দাবি দাওয়া সম্বলিত শ্লোগান, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, ক্যাপ, টি-শার্টে ভিন্নরকম আমেজ তৈরী করে তারা যে গতির সঞ্চার করেছে, তাতে দলীয় নেতাকর্মীদের স্পিড অনেকটাই মজবুত এবং শক্ত গাঁথুনিতে রূপ নিয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে কুমিল্লা থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চ যখন নগরীর প্রবশদ্বার সিটি গেইটে আসলো তখন যুবদলের প্রায় দুই হাজার পিকআপ-মাইক্রো-মোটর সাইকেলের বহর রোড মার্চকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালো। রোডমার্চের কেন্দ্রীয় বহরকে সিটি গেইট থেকে অভ্যর্থনা জানিয়ে নির্বিঘেœ কাজীর দেউড়ীর সমাবেশস্থলে পৌঁছে দিলো দ্যূতিময় আলো ছড়িয়ে। ওই মুহুর্তে চট্টগ্রাম নগরীর রাজপথ যেনো পুরোটায় যুবদলের সাজে সেজেছিলো।
যুবদলের জোয়ার দেখে কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, ঢাকা থেকে ভোর ৫টা রওয়ানা হয়ে কুমিল্লা, ফেনী, মিরসরাইয়ের রোড মার্চের যে ক্লান্তি তা সিটি গেইটে যুবদলের উত্তাল যুব সমুদ্র দেখে নিমিষেই কেটে গেলো। আমরা যেনো নতুন করে প্রাণ ফিরে পেলাম। দীপ্তির নেতৃত্বে যুবদল আমাদের বহরকে কাজির দেউড়ি পৌঁছে দিলো। দুপাশে হাজার হাজার নেতাকর্মী। প্রায় দুই হাজারের বেশী যান-বাহন আমাদের অভ্যর্থনা জানালো।
বৃহস্পতিবার রোডমার্চের সমাবেশ হলেও বুধবার থেকেই চট্টগ্রাম নগরীর সিটি গেইট এলাকা থেকে শুরু করে একে খান মোড়, অলঙ্কার, আকবরশাহ, ফয়’স লেক, জিইসি, ওয়াসা, কাজীর দেউড়ী যুবদলের ব্যানার, ফেস্টুনে দৃপ্তিময় সাজে সেজেছিল। তৈরি করা হয়েছিল দৃষ্টি নন্দন অসংখ্য তোরণ। বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার পর পর নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুবদলের নেতা-কর্মীরা সিটি গেইট এলাকায় অবস্থান নেওয়া শুরু করে। দুপুর নাগাদ সিটি গেইট মূলত যুবদলের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। একটা শিশুকে সাজানো হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাজে। তৈরি করা হয়েছিল প্রতীকি কারাগারও।
শুধু রোড মার্চ নয়, বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সমাবেশ ও র্যালি, দলের বিভিন্ন সময়ে বিক্ষোভ, মিছিল কর্মসূচিতে সবচে গোছানো উপস্থিতি যুবদলের। যুবদলের এই শক্তির উৎস মূলত ছাত্রদলের সোনালী ফসল নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি। তাকে যথাযথ সঙ্গ, সাহস দিয়ে যাছেন নগর যুবদলের অন্যতম নেতা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক মোশারফ হোসেন। যুবদলের এ শক্তিশালী অবস্থান আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপিকে যোগাচ্ছে শক্তি, দেখাচ্ছে পথ।