তিন মৃত্যুতে টনক নড়েছে প্রশাসনের
চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান পরিচালনা করে ৪০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে রেলের জায়গা ও পাহাড় দখলমুক্ত করেছে প্রশাসন। রবিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করা হয়। নগরীর পাঁচলাইশ থানার আই ডব্লিউ কলোনি এলাকায় পাহাড় ধসে বাবা-মেয়ের মৃত্যুর পর ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন কলোনির পাশের পাহাড় থেকে ২৫০ জনকে অপসারণ করে ৪০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন।
অভিযানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মাসুদ কামালের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের ৩ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মারমা মং, রাজিব হোসেন ও মো. মাসুদ রানা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে পাহাড় কেটে পাহাড়ের কোল ঘেষে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ৪০টি ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং অবৈধভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযানে রেলওয়ের চৌকিদার আব্দুল খালেক এ পাহাড় কাটার সাথে জড়িত বলে সত্যতা মিলেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও জেলা প্রশাসনের কাছে আছে। তার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় ফৌজদারী মামলা করা হয়েছে।
অভিযানের সময় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মেয়রের একান্ত সচিব, রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, রেলওয়ে ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অভিযানে সহায়তা করে।
উল্লেখ্য, আজ সকাল ৭ টায় আব্দুল আউয়াল (৩৫ বছর) ও তার ৮ মাসের শিশু কন্যা পাহাড় ধসে মৃত্যুবরণ করেন। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল মৃতের পরিবারকে পঞ্চাশ হাজার টাকা সরকারি অনুদান প্রদান করেন ।