সাম্প্রদায়িক রাজনীতির দিন শেষ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকে বিনষ্ট করার লক্ষ্যে একটি অপশক্তি দেশে প্রতিনিয়ত সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে। তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বেদীমূলে সাপের ন্যায় ছোবল মারার চেষ্ঠা চালাচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, যারা সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করে, যাদের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় সাম্প্রদায়িকতা, তারা দেশে এখনো রাজনীতি করছে। বর্তমান সরকার সে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির অপতৎপরতা কঠোর হস্তে দমন করতে বদ্ধপরিকর। আপনাদের নিকট অনুরোধ, যারা সাম্প্রদায়িকতাকে নিয়ে রাজনীতি করে, নানা কৌশলে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ায় তাদের চিনে রাখুন এবং আগামী নির্বাচনে তাদেরকে বর্জন করার আহবান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

শুক্রবার (১ জুলাই) ইস্কন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন) চট্টগ্রাম কর্তৃক আয়োজিত শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রথযাত্রা হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বড় উৎসব। বহুকাল ধরে রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়ে আসছে। প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আনন্দের উৎসব এখন আমাদের দেশের সংস্কৃতির অংশ হয়ে যাচ্ছে। আজ লাখো লোকে লোকারণ্য চট্টগ্রাম শহর জুড়ে উৎসবের আমেজ বইছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, যদিও ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্ত হয়েছিল সাম্প্রদায়িকতার উপর ভিত্তি করে, পরে বাঙালিরা অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছিল এ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা আমাদের জন্য নয়। কারন আমাদের প্রথম এবং প্রধান পরিচয় হচ্ছে আমরা বাঙালি, দ্বিতীয় পরিচয় ধর্মের। একসময় আমাদের পরিচয় যখন হুমকির মুখে পরেছিল ঠিক তখনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল।

মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলো তারা বারবার অসাম্প্রদায়িক চেতনার বেদীমূলে আঘাত হানে। রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধ্বংস করে দেশকে সাম্প্রদায়িক করে গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছিল। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করার পর হতে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে পূনরায় জাগ্রত করার চেষ্টা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। সে ধারা অব্যাহত রাখতে গত তেরো বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি ধারা ফিরিয়ে এনেছেন। সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

ইস্কন প্রবর্তক শ্রী কৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ লীলারাজ গৌর দাস ব্রম্মচারীর সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার, ডাঃ রাজীর রঞ্জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর নীলু নাগসহ হিন্দু ধর্মীয় অসংখ্য বক্তা বক্তব্য রাখেন এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও লাখো ধর্মপ্রাণ নরনারী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন