চট্টগ্রামে থানায় ব্যর্থ বিএনপি আদালতের স্মরণাপন্ন

২নং অভিযুক্ত বিএনপি নেতার ভাই

চট্টগ্রামে নিজেদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় কোতোয়ালী থানায় মামলা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিএনপি। সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব’র আদালতে ৬জনের নাম উল্লেখ করে ২শ আড়াইশ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অপরদিকে বুধবার (১৯ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে ওইদিন রাতেই খুলশী থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে দু’টি মামলা রুজু হয়। এসব মামলায় ইতোমধ্যে ২০/২৫বিএনপি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে বলেও জানা গেছে।

বিএনপি কর্তৃক আদালতে দায়েরকৃত মামলায় নামোল্লেখিত অভিযুক্তরা হলেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মোহাম্মদ নগর এলাকার বাসিন্দা নুরুল আবছারের ছেলে নুরুল আজম রনি, নগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, উত্তর কাট্টলীর মৃত বদিউল আলম চৌধুরীর ছেলে মনোয়ারুল আলম চৌধুরী নোভেল, চান্দগাঁও থানাধীন বরিশাল বাজার এলাকার মোজাফ্ফর মিয়ার ছেলে ওমর খৈয়াম তৈয়ব, খুলশী থানাধীন টাইগারপাস এলাকার জ্যোতি পাল দাশের সন্তান গোবিন্দ দাশ, একই থানাধীন টাইগার পাস বাটালী হিল এলাকার মোঃ আজিমের ছেলে মোঃ তুষার এবং টাইগার পাস এলাকার শাহ আলমের ছেলে বø্যাক হৃদয়। নামোল্লেখিত ৬জনের মধ্যে অভিযুক্ত দ্বিতীয়জন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য আহমেদ উল আলম রাসেলের আপন ভাই।

স্থানীয় গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা কাজী মাহমুদ হোসেন বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় বলা হয় বুধবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় উল্লেখিত ৬ অভিযুক্তের নেতৃত্বে প্রায় ২শ/আড়াইশ মানুষ আগ্নেয়াস্ত্র, লোহার রড, লাঠি সোটাসহ একযোগে এসে অতর্কিতভাবে নগরীর নাছিমন ভবনস্থ বিএনপি অফিসে হামলা চালায়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। পরদিন বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ফৌজাদারী এ অপরাধের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে কোতোয়ালী থানা মামলা না নিয়ে নানা গড়িমসি করে। থানা মামলা না নেয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে বলে মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়।

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, শুধু দলীয় কার্যালয়, টেবিল, চেয়ার, দরজা, জানালা ভাংচুর কিংবা লেপটপসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া নয়, তারা এসময় বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মীকেও রাস্তায় পেয়ে শারীরিকভাবে আহত করে। বেশ কয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরণ ও আগুন ধরিয়ে দিয়ে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি’র আইনজীবী এডভোকেট হাসান আলী বলেন, আমরা ফৌজদারী অপরাধের বিভিন্ন ধারায় আদালতে মামলা দায়ের করেছি। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন