পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রদল নেতারা। তার ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে এ কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আপনারা দেখেছেন, একজন পুলিশ সদস্যকে কীভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের ছোড়া ঢিলে যখন ওই পুলিশ সদস্য নিচে পড়ে যান তখন একদল ছাত্রদল নেতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। পুরো ঘটনার ছবি আমাদের কাছে আছে। শুধু পিটিয়েই নয়, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তার মাথা ক্ষত বিক্ষত করেছে। পরবর্তীতে ওই পুলিশ সদস্য ইন্তেকাল করেছেন। এ দৃশ্য সবার মনে দাগ কেটেছে।
তিনি বলেন, পুরো পরিস্থিতি পুলিশ অনেক ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। বৃষ্টির মতো তারা ইটপাটকেল ছুঁড়েছে। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
ক্ষণে ক্ষণে ঢিল মারছিল। গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে, এমন তথ্য আমাদের কাছে আগেই ছিল। আমাদের পুলিশ বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আগুন লাগিয়ে দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের ছোটবড় স্থাপনায় আগুন দেয়। এছাড়া কয়েকটি সরকারি স্থাপনায় আগুন দেয়। জাজেজ কমপ্লেক্সে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আগে থেকেই ঘোষণা দিয়েছিল তারা ১০ লাখ লোক সমাবেশে আনবে। তাদের (বিএনপি) সমাবেশ প্রধান বিচারপতির বাসভবন পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। ঘটনার সূত্রপাত সেখানে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাচ্ছিল সেই মিছিলে বিএনপি হামলা করে। শুধু হামলা করেই বিএনপি ক্ষান্ত হয়নি তারা দুটি পিকআপে আগুন দেয়। এরপর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে পড়ে। এসময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না। পুলিশ আইনানুযায়ী তাদের কাজ করেছে। তাদের সরিয়ে দিয়েছে।
২০১৪ সালে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি করেছিল সেই পরিস্থিতি আবারও করার পায়তারা করেছে বিএনপি এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, বিএনপি হরতাল ডেকেছে। তারা গাড়ি-বাস পুড়িয়েছে। যেই গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করবে গাড়ি ভাঙচুর করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো আমরা। এ সময় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।