চট্টগ্রামে সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশন নির্বাচনে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের নিরঙ্কুশ বিজয়

চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) ২৩৪ এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন বুধবার (২৫ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সারাদিন উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় ছিলো। নির্বাচনে বন্দর থানা পুলিশের একটি টিম সার্বক্ষনিক আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করেছে। এবারের নির্বাচনে ৭ হাজার ১শ ৯৮ ভোটারের মধ্যে ৬ হাজারেরও বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে ২৮টি সম্পাদকীয় এবং ৭টি সদস্য পদসহ মোট ৩৫টি পদের বিপরীতে দুই প্যানেল থেকে ৭০ প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র ৫জন প্রার্থী মিলে মোট ৭৫জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করেছেন।

নির্বাচনে সম্পাদকীয় ২৮টি এবং সদস্য  ৭টিসহ মোট ৩৫টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ২০টি এবং সদস্যের ৭টি পদের মধ্যে ৬টিসহ মোট ২৬টি পদে নিরঙ্কুশ বিজয় বিজয় অর্জন করেছে মিল্টন-মোশারফ পরিষদ। অপরদিকে সম্পাদকীয় ৮টি এবং সদস্য পদে ১টিসহ মোট ৯টি পদে জয়লাভ করেছে খোকন-জাকির পরিষদ।

নির্বাচনে যারা বিজয়ী: সভাপতি পদে কাজী মোঃ খায়রুল বাশার মিল্টন ছাতা প্রতীকে ৩৫৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি এ.কে.এম.এনায়েত উল্লা খোকন ( চেয়ার) ২৫৮৬ এবং মোঃ হারুনুর রশিদ (হারিকেন) ৯৯ ভোট পেয়েছেন।

কার্যকরী সভাপতি পদে খোকন জাকির পরিষদের মোঃ নুরুজ্জামান রানা পেয়েছে ৩২৯৪ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মোঃ শাহ আলম সাইফুল পেয়েছেন ২৯০৮ ভোট।

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে খোকন জাকির পরিষদের মোঃ বোরহান উদ্দিন বাহাদুর ৩১৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মোঃ হারুন অর রশিদ পেয়েছে ৩০৫৪ ভোট।

সহ-সভাপতি পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মুহাম্মদ সেলিম ৩১২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মোঃ জফুর আলম মজুমদার পেয়েছেন ৩০৬৩ ভোট। সহ-সভাপতি পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মোঃ সেলিম রেজা ৩৫৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী এবং মোঃ ফরহাদ আলী পেয়েছেন ২৭৩২ ভোট। সহ-সভাপতি পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মোঃ আবুল কাশেম ৩৪১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি দেওয়ান জয়নুল আবেদীন ২৮১০ ভোট পেয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ মোশারফ হোসেন ভূইয়া ৩৪০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মোঃ জাকির হোসেন পেয়েছেন ২৮৯১ ভোট।

যুগ্ম-সম্পাদক পদে খোকন-জাকির পরিষদের মোঃ ইব্রাহিম পেয়েছেন ৩১৪৫ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন পেয়েছেন ৩১৩০ ভোট।

সিনিয়র সহ-সম্পাদক পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মোঃ মনজুরুল আলম ভুইয়া (নিপু) ৩৪৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মোঃ করিমুল মাওলা আলাউদ্দিন ২৮৩২ ভোট পেয়েছেন।

সহ-সম্পাদক পদে খোকন-জাকির পরিষদের মোঃ হারুন বাবর ৩৯৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি সঞ্জয় বৈদ্য পেয়েছেন ২৩২৩ ভোট। সহ-সম্পাদক পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মোঃ ইলিয়াছ হোসেন হাওলাদার ৩৭৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি বিজন কুমার খাস্তগীর পেয়েছেন ২৫৩০ ভোট। সহ-সম্পাদক পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মোঃ আব্দুল জলিল তালুকদার ২৯৭৬ ভোটে বিজয়ী, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মোঃ তৌহিদ উদ দৌজা ২৭০৯ ভোট এবং মোঃ ইকবাল মাহমুদ ৫৬৫ ভোট পেয়েছেন।

অর্থ সম্পাদক পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মোঃ ছাখাওয়াত হোসেন ৩৫৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মোঃ জাহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ২৭৩০ ভোট। শ্রম ও সদস্য কল্যাণ সম্পাদক পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মোঃ হাফিজুর রহমান মিন্টু ৩৭৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী, অপরপ্রার্থী মোঃ মোশারফ হোসেন সেনবাগী ২৪৭১ ভোট পেয়েছেন। যুগ্ম শ্রম ও সদস্য কল্যাণ সম্পাদক পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মোঃ ইসহাক মিয়া ৩৩২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, অপর প্রার্থী মোঃ ফরিদ উদ্দিন পেয়েছেন ২৯৪৯ ভোট।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মোঃ রাসেল খান ৩৭২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মোঃ আব্দুল্লাহ আল আমিন পেয়েছেন ২৫৫২ ভোট। যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে খোকন-জাকির পরিষদের মোঃ এনামুল হক পেয়েছেন ৩২৫৫ ভোট, অপর প্রার্থী মোঃ কামাল হোসেন পেয়েছেন ৩০৪৭ ভোট। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মোঃ মোবারক আলী পেয়েছেন ৩২৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী সাদ্দাম হোসেন পেয়েছেন ৩০৩৯ ভোট। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মোঃ আহসান উল্লাহ ৩৩৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী, অপর প্রার্থী মোঃ আলতাফ হোসেন রবিন পেয়েছেন ২৮৬০ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মোঃ ইকবাল হোসেন ৩২১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী, অপরপ্রার্থী মোঃ তোফায়েল হোসেন পেয়েছেন ৩০৬১ ভোট। সহ-দপ্তর সম্পাদক পদে খোকন-জাকির পরিষদের মোঃ জাবেদ উদ্দিন ৩৩২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী, অপর প্রার্থী সুপায়ন বড়ূয়া পেয়েছেন ২৯৭৫ ভোট। কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মোঃ কামরুজ্জামান ৪১৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী, অপর প্রার্থী প্রলয় কুমাড় বড়ূয়া পেয়েছেন ২০৮৭ ভোট। যুগ্ম-কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের আলমগীর আজাদ ২৯৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি এস এম নিশান মাহমুদ ২৮০২ ভোট এবং মোঃ জহিরুল আলম পেয়েছেন ৪৮৬ ভোট। বন্দর বিষয়ক সম্পাদক পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মোঃ আলকাছ মিয়া ৩২৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী, অপর প্রার্থী মোঃ জয়নাল আবেদীন (মামুন) পেয়েছেন ২৯৯৫ ভোট। যুগ্ম-বন্দর বিষয়ক সম্পাদক পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩৫৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী, অপর প্রার্থী মোঃ ফেরদৌস আলম পেয়েছেন ২৭১১ ভোট। অফ-ডক বিষয়ক সম্পাদক পদে খোকন-জাকির পরিষদের মোঃ মাছুম বিল্লাহ পেয়েছেন ৩৩৮৯ ভোট, অপর প্রার্থী মোঃ আরমান হোসেন পেয়েছেন ২৯১২ ভোট। অফ-ডক বিষয়ক সম্পাদক পদে মিল্টন-মোশারফ পরিষদের মোঃ ফোরকান ৩৮৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী, অপর প্রার্থী মোঃ বাবুল হোসেন পেয়েছেন ২৪০৬ ভোট। ইপিজেড বিষয়ক সম্পাদক পদে খোকন-জাকির পরিষদের মোঃ খোরশেদ আলম মামুন ৩৩৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী, অপর প্রার্থী এইচ এম হাসানুজ্জামান হাসান পেয়েছেন ২৯৫৬ ভোট।

সদস্য পদে বিজয়ী যারা : সদস্য পদে মোশারফ মিল্টন পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ৩৪৮০ ভোট, মোঃ জান্নাত হোসেন ৩৩৮৮ ভোট, মোঃ হাসান মুরাদ ৩০০৯ ভোট, মোঃ শেখ কামাল ২৮৯৭ ভোট, মোঃ রফিকুল ইসলাম মিলন ২৮৯৪ ভোট,  এবং মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ২৮৭২ ভোট অপরদিকে এ পদে খোকন-জাকির পরিষদের একমাত্র বিজয়ী মোঃ ফয়সাল নুর ২৮৮৯ ভোট।

দিনভর ভোট গ্রহণ শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব মিন্টুকে চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ (সিবিএ) এর সাধারণ সম্পাদক মো. নায়েবুল ইসলাম ফটিককে সদস্য সচিব এবং কাজী মো. আব্দুস সাদেক নান্না, মো. আবদুল বাতেন, মো. আবু তাহের সরদারের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন