মহেশখালী আ’লীগের কমিটিতে ঠাঁই পেলো যুদ্ধাপরাধী ছেলে ও বিএনপি-জামায়াত ক্যাডার

যুদ্ধাপরাধী মামলার তালিকাভূক্ত আসামির ছেলে, বিএনপির সাবেক এমপি’র ভাগিনা, জামায়াতের সাবেক এমপির আত্মীয়-স্বজন ও যুবদল ক্যাডারকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে মহেশখালী পৌর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটি। পৌর আওয়ামী লীগের ৯টি ওয়ার্ডে বর্তমান কমিটির কাউকে কাউন্সিলর তালিকায় নাম না রাখায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন ত্যাগী ও তৃণমুলের নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, মহেশখালী পৌর আওয়ামী লীগের প্রতিটি ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েছে অনুপ্রবেশকারীরা। এ লক্ষ্যে গোপনে কাউন্সিলর তালিকা প্রস্তুত করেছে আহবায়ক কমিটির নেতা মকসুদ মিয়া।

মহেশখালী উপজেলার জামায়াত বিএনপির কতিপয় নেতা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পৌরসভা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে নাম লেখাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ২৩ জুলাই শনিবার মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় রাজাকার ছেলে ও বিএনপি জামায়াত ক্যাডারদের নিয়ে গোপনে তৈরী করা কাউন্সিলর তালিকাটি অনুমোদন করিয়ে নিয়েছে আহবায়ক কমিটির কয়েকজন। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে তৃণমুল নেতাকর্মীরা। তারা অভিযোগ নিয়ে বর্ধিত সভায় গেলে তাদের সভাস্থলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের এমপি আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, অনুপ্রবেশকারী বলে পৌর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ডে কাউন্সিলর তালিকাভূক্ত হওয়া কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গোপনে তৈরীকৃত তালিকায় ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি হিসেবে দেয়া হয়েছে জামায়াত নেতা সাবেক এমপি হামিদুর রহমানের আত্মীয় জয়নাল আবেদীনকে। যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামি মৌলভী আবদু সবুরের ছেলে মঈন উদ্দিনকে করা হয়েছে ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি। যুবদলের ক্যাডার আমান উল্লাহকে সভাপতি করা হয়েছে ২নং ওয়ার্ডের। বিএনপি সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদের ভাগিনা শাহজাহানকে ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। মনগড়া ওয়ার্ড কমিটির অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে বর্ধিত সভার একদিন পরই সোমবার (২৫জুলাই) তাড়াহুড়ো করে পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। আশ্চর্য হলেও সত্য, পৌর আওয়ামী লীগের প্রত্যেক ওয়ার্ডের বর্তমান কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক কাউকে কাউন্সিলর তালিকায় রাখা হয়নি। ৯টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে, মোস্তফা কামাল সোহাগ, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ হাশেম, নুরুল আলম, ছালামত উল্লাহ, গৌতম চক্রবর্তী পলাশ ও মো: শাকের উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের কাছে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা মেলেনি বলে জানা গেছে।

এ অবস্থার কারণে তারা প্রধানমন্ত্রী ও সেতুমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আরও পড়ুন