কমদামে প্লট বিক্রির নামে অভিনব প্রতারণা

দিনমজুর, গার্মেন্টস কর্মী, মাছ বিক্রেতা ও সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষকে অল্প টাকার বিনিময়ে প্লট দেয়ার প্রলোভন দিয়ে অবৈধ লিজ দলিল দেখিয়ে প্রতিনিয়ত হতদরিদ্র ব্যক্তিদের কষ্টার্জিত অর্থ নিয়ে ভোগবিলাসে লিপ্ত প্রতারক চক্র।

ভুক্তভোগীরা জানান, ওয়াকফ কর্তক ৯৯ বছরের স্থায়ী লীজ গত ২০০১ সালে সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে নিবন্ধন নিয়ে ২০০৭ সালে ওয়াকফ এস্টেট থেকে আইনুদ্দিন হায়দার ও ফয়জুন্নেসা ওয়াকফ এষ্টেটের ২০ একর জমির বরাদ্দ দেয় সরকার। এর আগে উক্ত ওয়াকফ এষ্টেটের মোতাওয়াল্লী ছিলেন আবুল কালাম আনসারী জামালকে গত ২০১৩ সালের ৩ জুলাই দুই বছরের মেয়াদে অফিসিয়াল মোতাওয়াল্লি নিয়োগ করা হয় । উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণের পর গত ২০১৫ সালের ১ জুলাই অফিসিয়াল মোতাওয়াল্লির মেয়াদ পরবর্তী দুই বছরের জন্য নবায়ন করা হয়। পরবর্তীতে গত ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল অফিসিয়াল মোতাওয়াল্লির মেয়াদ নবায়নের আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক মোহাম্মদ আইয়ুব আলী মিয়াকে দুই বছরের মেয়াদে অফিসিয়াল মোতাওয়াল্লি নিয়োগ দেয়া হয়।

এ ওয়াকফ এষ্টেটের মোতাওয়াল্লি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা চলমান থাকা অবস্থায় আবুল কালাম আনসারী জামাল উল্লেখিত সম্পত্তি তার ছোট ভাই সোহেল আনসারী ও প্রধান সমন্বয়ককারী খন্দকার মোজাম্মেল হক , মোহাম্মদ আশরাফ আলী চিশতি সমন্বয়ক গং সহ সম্পূর্ণ সত্য ও তথ্য প্রমানসহ কাগজপত্র প্রমাণিত। এই প্রতারক চক্র খন্দকার মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ আশরাফ আলী চিশতি, আবুল কালাম আনসারী জামালের নির্দেশ মতে শত শত নিম্ন আয়ের পরিবারের কাজ থেকে ৩ ও ৫ বছরের লীজ চুক্তি দলিলের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অসহায় নিরীহ নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ।

অপরদিকে আবুল কালাম আনসারী জামাল উক্ত মোতাওয়াল্লি নিয়োগাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং-৫৭৬৯/২০১৬ মোকদ্দমা দায়ের করেন। মহামান্য আদালত গত ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ পাঁচ বছর পর উক্ত তারিখে রিটপিটেশন মামলা খারিজ করেন। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড প্রত্যয়ন করেন উক্ত খারিজা দেশের বিরুদ্ধে আবুল কালাম আনসারী জামাল সিভিল পিটিশন ফর লীভ টু আপিল নং-২৮৪৯/২০২১ ধায়ের করেছেন। আদালত সিভিল পিটিশন ফর লীভ টু আপিল ২৮৪৯ পাবলিক ২০২১ মুকাদ্দামাটি আউট অফ দা লিস্ট মর্মে গত ২০২৩ সালের ৬ মার্চ এ আদেশ প্রদান করেন।

আরও পড়ুন