নিখোঁজ আমিন মো. হিলালীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, তবু তাকে জনসম্মুখে হাজির করুন।
রবিবার (৩ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন এ অনুরোধ করেন রফিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষ থেকে ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, ব্যক্তিগতভাবে কাউকে সন্দেহ করছি না, কারো প্রতি অভিযোগ নেই। আমরা শুধু আমাদের নিখোঁজ ভাইকে খুঁজে পেতে চাই। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে আইনি ব্যবস্থা নিন, তারপরও তাকে জনসম্মুখে হাজির করা হোক।
রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, আমার বড় ভাই আমিন মো. হিলালী নানা রোগে আক্রান্ত। তাকে তিন বেলা ওষুধ সেবন করাতে হয়। আমরা ২০০৩ সাল থেকে ব্যবসা করছি, আজ পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।
দুদকে হিলালীর বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। সে মামলা থেকে বাঁচতে তিনি আত্মগোপনে গিয়েছেন কি না প্রশ্ন করা হলে রফিকুল ইসলাম বলেন, উনি জামিনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তা ছাড়া অপরাধ থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের ঠিক তেমনি একজন নিরপরাধ মানুষকে খুঁজে বের করার দায়িত্বও রাষ্ট্র ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
তিনি বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব পর্যায়ে যোগাযোগ করা হয়েছে, প্রথমে তাদের তৎপরতা দেখা গেলেও গতকাল থেকে তাদের নির্লিপ্ত বলে মনে হয়েছে।
চলতি মাসের ১ তারিখ রাত ৮টায় তিনি নিখোঁজ হয়েছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়। তিনি ওই দিন রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের অফিসের উদ্দেশে বের হন। এ সময় তিনি চালক জামাল উদ্দিনকে ফোনে অফিসে যাবেন জানিয়ে ১০-১৫ মিনিট পরে অফিসে আসতে বলেন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি বাসায় ও অফিসে কোথাও যাননি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (১ জুলাই) রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডি করা হয়। জিবি নম্বর -৫৮। তাকে কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় উৎকণ্ঠায় সময় পার করছে পরিবারের সদস্যরা।
নিখোঁজ আমিন মো. হিলালী আশালয় হাউজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। এ ছাড়া হিলালীর বড় ভাই ড. রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব।