তুমব্রু ক্যাম্পে গুলাগুলিতে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা ও রোহিঙ্গা নারী নিহত
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমরু সীমান্তে নোম্যান্সল্যান্ডে অভিযান চালাতে গিয়ে গুলিতে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর এক কর্মকর্তা ও এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও তিন রোহিঙ্গা।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে তুমরু সীমান্তের জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গা শিবিরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সীমান্তের উভয় দিকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি টহল বাড়িয়েছে। জিরো লাইনে থাকার রোহিঙ্গা শিবিরের কাউকেই এখন বাইরে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। নিহতারা হলেন অভিযানে থাকা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার মোঃ রেজওয়ান (৩৪) ও রোহিঙ্গা নারী সাজেদা বেগম (২০) ঘটনার পরপরই হতাহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন মাদক পাচারকারীদের একটি চক্র তুমব্রু সীমান্তের রোহিঙ্গা শিবের অবস্থান করছে এ খবর পেয়ে সেখানে সন্ধ্যার দিকে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় রোহিঙ্গা শিবির থেকে মোঃ জামাল নামের এক পাচারকারীকে আটক করা হয়।
ঘটনার পরেই অভিযানকারী র্যাবের দলটির উপর গুলি বর্ষণ শুরু করে মাদক পাচারকারী। এতে ঘটনাস্থলে অভিযানকারী দলটিতে থাকা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা বিমান বাহিনীতে কর্মরত স্কোয়াড্রন লিডার মোঃ রেজওয়ান নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গা নারী সাজেদা বেগম। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরো তিনজন আহত হয় রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা।
রোহিঙ্গা শিবিরের দলনেতা দিল মোহাম্মদ ও ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন তুমব্রু সীমান্তের মিয়ানমার অংশের তুমব্রু লেফ্ট ক্যাম্প অংশ থেকে শতাধিক রাউন্ড গুলি করা হয়। এ সময় আতঙ্কে রোহিঙ্গারা নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেয়।
এদিকে ঘটনার পর বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা সেখানে গিয়ে নিহত স্কোয়াড্রন লিডার রেজওয়ানের লাশ উদ্ধার করে। এছাড়া হতাহতদের নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতালে। বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক অবস্থায় বিরাজ করছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন এ ঘটনার পর জনসাধারণের নিরাপত্তায় পুলিশি ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।