কক্সবাজার কটেজ জোনের টর্চার সেলের দুই সন্ত্রাসী আটক

কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল জোনের শিউলি কটেজের টর্চার সেল থেকে জিম্মি অবস্থায় ৪ পর্যটক উদ্ধারের ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

শনিবার (১৩ আগষ্ঠ) রাতে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে তাদের আটক করা হয়। ট্যুরিস্ট পুলিশ দাবী করছে, শিউলি কটেজে পর্যটক জিম্মি করার ঘটনা তারা জড়িত।

আটকরা হলেন, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের পশ্চিম খানঘোনা এলাকার নুরুল আজিমের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২৫) ও পূর্ব বামনপাড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে মো. সাকিল (২২)।

জানা গেছে, কটেজ জোনের শিউলি কটেজে ৪ জন পর্যটককে অপহরণ করা হয়। সেখানে তাদের নির্যাতন করে টাকা দাবী করা হয়। পরে ৭ আগস্ট ট্যুরিস্ট পুলিশ ওই কটেজে অভিযান চালিয়ে জিম্মি ৪ পর্যটককে উদ্ধার করে।

এই ঘটনায় ৯ আগস্ট নির্যাতনের শিকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাবা মো. বেলাল আহমেদ বাদি হয়ে ৭/৮ জন ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামী করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের উদ্ধারের পর সংবাদ সম্মেলনে শিউলি কটেজকে টর্চার সেল বলে দাবী করেছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম ।

ধৃতদের উদ্বৃতি দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, আটক দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তারা দুইজনই শিউলি কটেজ পরিচালনার সাথে জড়িত৷ একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে সহজ সরল ট্যুরিস্টদের বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে ওই কটেজে নিয়ে গিয়ে নারী ও মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিল। তারা পর্যটকদের আপত্তিকর ছবি ধারণ করে রাখে এবং ভয় ভীতি দেখিয় কোথাও অভিযোগ দিলে সেই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে। যার কারণে ভুক্তভোগীরা কেউ অভিযোগ না দিয়েই নিশ্চুপ ছিলেন এতোদিন।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাথে জড়িত একটি দালাল সিন্ডিকেটের তথ্য পাওয়া গেছে। ওই এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় মূলত কয়েকটি কটেজে এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়। তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন