শুধু ঘরবাড়ী নয়, ঘূর্ণিঝড় হামুন ভেঙেছে কুতুবদিয়ার সী অ্যাম্বুলেন্সও

ঘূর্ণিঝড় হামুনের তান্ডবে ভেঙ্গে ছুড়ে তছনছ হয়ে গেছে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র সী এম্বুলেন্সসহ বড়ঘোপ স্টিমার ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা ৬টি ডেনিশ বোট ও ৬টি স্পীড বোট।

মঙ্গলবার রাতে ঘূর্ণিঝড় হামুনের তান্ডব শুরু হলে স্টিমারঘাটে নোঙ্গর করে রাখা সী এম্বুলেন্সটি নোঙ্গর ছিড়ে ঘাটের সাথে ধাক্কা লেগে ভেঙে যায়। কুতুবদিয়া উপজেলার জরুরি প্রয়োজনে রোগী নিয়ে সমুদ্রে চলাচলের জন্য এটি ছিলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র সী এম্বুলেন্স। এছাড়া বড়ঘোপ-মগনামা পারাপারে ব্যবহারিত ৬টি ডেনিশ বোট ও ৬টি স্পীড বোট ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হয়েছে।

বড়ঘোপ-মগনামা পারাপারের ইজারাদার নুরুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে স্টিমার ঘাট ও মগনামা ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা ৬টি ডেনিশ বোট ও ৬টি স্পীড বোট ভেঙে গেছে। এগুলো মেরামত করতে ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হবে বলে জানান।

রোগী পারাপারে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র সী এম্বুলেন্সটি দ্রুত মেরামত করা না হলে ভোগান্তিতে পড়তে হবে উপজেলার গরীব ও অসহায় রোগীদের। তাই দ্রুত সী এম্বুলেন্স মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করার দাবী দ্বীপের সচেতন মহলের।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গোলাম মোস্তফা নাদিম জানান, বড়ঘোপ স্টিমার ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সী এম্বুলেন্সটি ভেঙে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। এই সী এম্বুলেন্স দিয়ে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০জন রোগী পারাপার করা হয়। সী এম্বুলেন্সটি মেরামত করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান।

আরও পড়ুন