সর্তাখালের বালু, কাটছে কার খালু !!!
প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা, কড়া আইনী নজরদারি এড়িয়ে প্রতিনিয়তই কাটা হচ্ছে রাউজানের সর্তাখালের বালু। কিন্তু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বালু খেকোরা কি প্রশাসনের চেয়েও শক্তিশালী ? যারা বালু তুলছে তারা কারা, তার কার খালু ? এমনও হাজারো প্রশ্নের মধ্যে চট্টগ্রামের রাউজানে বালু খেকোদের অপতৎপরতায় ক্ষত-বিক্ষত সর্তাখাল, বালুবাহী পরিবহনের চাপে সড়কের অবস্থাও নাজুক। বালু খেকোদের অপতৎপরতায় এ কুল, ওকুল দু’কুলই ভাঙছে সর্তাখালের। বালু উত্তোলনে ক্ষত-বিক্ষত রাউজান ও ফটিকছড়ির উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সর্তাখাল। এইখাল থেকে উত্তোলন করা বালুবাহী পরিবহনের চাপ পড়ছে সাড়ে তিন কোটি টাকায় নির্মিত হলদিয়া ভিলেজ সড়ক। এ সড়কটি রাউজান ফটিকছড়ি এলাকার মানুষের যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমে। গত দুবছর আগে এই রোডটি রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সহায়তায় আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি এখন বড় হুমকিতে আছে বালু, কাঠবাহী ট্রাক ও চাঁদের গাড়ির উৎপাতে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেছেন, স্থানীয় কিছু বালু ও কাঠ ব্যবসায়ী সড়কটির শেষ প্রান্তে থাকা সর্তার খাল থেকে স্যালো পাম্পে উঠানো বালু ও পাহাড়ী এলাকায় কাটা কাঠ প্রতিদিন পরিবহন করছে ট্রাক ও চাঁদের গাড়িযোগে। অনেকেই বলেছেন সড়কটির ভারসহ্য করার ক্ষমতা আছে আড়াই তিনটন। এখন পাঁচ, সাত টন ওজন নিয়ে বালু ও কাঠ পরিবহন হওয়ায় রোডটির স্থায়ীত্ব নিয়ে শঙ্কিত স্থানীয়রা। বেপরোয়া গতির বালুবাহী ট্রাক ও চাঁদের গাড়িতে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
খবর নিয়ে জানা যায়, সড়কটির ওপর দিয়ে বালুও কাঠ পরিবহনের সংবাদ পেয়ে রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বালু ও কাঠ পরিবহনকারীদের ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। সর্তাখাল থেকে যারা বালু উঠাচ্ছে তাদের শনাক্ত করে পুলিশে দিতে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয়রা বলেছেন এই রোডে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। একদিকে বেপরোয়া গতির বালুবাহী পরিবহনের জন্য শঙ্কিত অভিভাকেরা, অন্যদিকে উড়ন্ত বালুতে এই রোডে চলাচলকারী শিক্ষার্থীদের শরীরে ও আশে পাশের প্রতিষ্ঠানে আস্তর সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া বেপরোয়া গতিতে চলাচলকারী গাড়ি প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে।
জানা যায়, এই খাল থেকে বালু উঠানো নিষিদ্ধ। প্রশাসন বিভিন্ন সময় বালু উঠানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও, কিছু সময় বিরতি দিয়ে বালু ব্যবসায়ীরা আবারও তাদের ব্যবসা শুরু করে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম বলেছেন, তিনি সংসদ সদস্যের নির্দেশনা পেয়ে খাল থেকে বালু উত্তোলন ও ভারি গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।