সীতাকুন্ড হোটলে পঁচা-বাসী খাবারেই চলছে রমরমা বাণিজ্য

সীতাকুণ্ড পৌরসদরের ব্যবসায়ী ছোটন দাশ (৩৯) তাঁর দুই বন্ধুকে নিয়ে রাজবাড়ী হোটেল এন্ড রেঁস্তোরায় দুপুরের খাবার খেতে যান। তাঁরা ইলিশের অর্ডার করার কিছুক্ষণ পর তিন পিস ইলিশ এনে দেন। কিন্তু ইলিশ খাবারের পাতে নিয়ে ভাঙতে উৎকট গন্ধ পরিলক্ষিত হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক হোটেল মালিককে দেখালেও তিনি তা অস্বীকার করে তিন পিস ইলিশের দাম ৭৫০ টাকা আদায় করেন।

শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পৌরসদরের রাজবাড়ী হোটেল এন্ড রেঁস্তোরা এ ধরনের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ছোটন দাশ জানান, দুপুরের খাবার খেতে তিনি তার দুই বন্ধুকে নিয়ে রাজবাড়ী হোটেল-রেস্তোরাঁয় যান। তাঁরা ইলিশ ফ্রাই এর অর্ডার করেন। অর্ডার এর কিছুক্ষণ পর হোটেল বয় তিনটি ইলিশ ফ্রাই দিয়ে যায়। কিন্তু ইলিশ ফ্রাই পাতে নিয়ে খাবার সময় তা থেকে উৎকট পঁচা গন্ধ বের হয়। বিষয়টি সাথে সাথে হোটেল মালিককে জানালে তিনি তা অস্বীকার করার পাশাপাশি তিন পিস পঁচা ইলিশের দাম ৭৫০ টাকা আদায় করেন। পাশাপাশি হোটেল মালিক তাদের সাথে অশোভনীয় আচরণ করেন। এতে অগত্যা বাধ্য হয়ে না খেয়ে টাকা পরিশোধ করে ফিরে আসেন।

তিনি আরও জানান, হোটেলটি বাইরে থেকে চাকচিক্য ভরপুর থাকলেও ভেতরে বাসি পচা খাবার ও নোংরা আবর্জনায় ভরা। তাঁর সাথে ঘটে যাওয়া পঁচা ইলিশের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়ার পর তাতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মন্তব্যে। তিনি হোটেলেটির বাসি-পচা খাবার বিক্রি বন্ধে প্রসাশনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অন্যদিকে এ বিষয়ে হোটেল মালিক মো.সোহেল জানান, তিনি বাজার থেকে তাজা মাছ কিনে ছিলেন। তা কোন মতেই পঁচা হতে পারে না। তাই তিনি ক্রেতার কাছ থেকে ইলিশের দাম আদায় করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শাহাদাত হোসেন জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও বাসি পঁচা খাবার বিক্রির দায়ে এর আগেও এ হোটেলে অভিযান চালানোর পাশাপাশি জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পঁচা ইলিশ দিয়ে ক্রেতাকে হয়রানি ও অতিরিক্ত দাম আদায়ের বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি হোটেলে পুনরায় অভিযান চালানো হবে।

আরও পড়ুন