ভালোবেসে বিয়ে করে সুখী হয় শাহেদুল আলম ও মাজু আকতার দম্পতির। সুখের সংসারকে আলোকিত করে তিন ছেলে সন্তান। ১৯ বছর আগে ভালোবাসার বিয়ে মাজু আকতারের পরিবার মেনে নিলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় শাহেদুল আলমের পরিবার। সেই থেকে চলেছে অনেক নির্যাতন-নিপীড়ন। নির্যাতন-নিপীড়নের অংশ হিসাবে গত ৭ বছর আগে কৌশলে পৈত্রিক সম্পত্তি ১৪ শতক জমি লিখে নিয়েছিলেন আপন বড় ভাই দিদারুল আলম। এখানে শেষ নয়, এবার চলছে শারীরিক নির্যাতন; শেষ সম্বল লুট।
এমন হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটে রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের খলিফাঘোনা এলাকার বাঁশির আলী বাড়িতে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত ৯টায় ঘর থেকে উচ্ছেদ করার জন্য চালানো হয় মানবিক নির্যাতন। লোহার রড, লাঠিসোটা দিয়ে হত্যার উদ্দেশে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় শাহেদুল আলম ও তার স্ত্রী মাজু আক্তারকে। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এ দম্পতি হাসপাতালে থাকা অবস্থায় শুক্রবার (৩০ জুলাই) বসতঘর ভাঙচুর করে নগদ ১ লাখ টাকা, ৮ ভরি স্বর্ণালংকারসহ প্রয়োজনী জিনিষপত্র ট্রাকে তুলে লুট করে গায়েব করে ফেলে।
রবিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাউজান প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ভুক্তভোগী শাহেদুল আলম ও তার স্ত্রী মাজু আকতার। শাহেদুল আলম বলেন, গত ১৯ বছর আগে একই বাড়ির গোলাম রাব্বানীর মেয়ে মাজু আকতারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়। প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি শাহেদুল আলমের পরিবার। বিয়ের ১বছর পর স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাইতে পাড়ি জমান শাহেদুল। ২০১২ সালে দেশে ফেরার পর গত ৭ বছর আগে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে ১৪শতক জমি লিখে নেন।
তার স্ত্রী মাজু আকতার বলেন, আমি তিন সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় আশ্রয় নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের পর আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। শাহেদুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করি। গত ৩০ জুলাই শনিবার রাতে শাহেদুল আলমের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, মালামাল লুট করে ট্রাকে করে নিয়ে যাওযার বিষয়ে আমি অবগত নয়।