চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রেল মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ১১জন নিহতের ঘটনায় স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যের সাথে মিলছেনা রেলের দায়িত্বশীলদের বক্তব্য। রেল সংশ্লিষ্টরা বলছেন সিগন্যাল না মেনে মাইক্রোবাসটি লাইন পার হওয়ার চেষ্টা করেছে। অপরদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দুর্ঘটনার সময় সেখানে কোন লাইনম্যান ছিলোনা।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের এক কিলোমিটার উত্তরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে। রেলের বিভাগীয় পার্সোনেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আনছার আলীকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জান্না, খৈয়াছড়া ঝরনা পর্যটনকেন্দ্র থেকে গোসল করে ফেরার পথে মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রেনটি ধাক্কা দেওয়ার পর মাইক্রোবাসটিকে প্রায় এক কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসে মোট ১৫ আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১১ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একজন সুস্থ আছেন। ট্রেন ধাক্কা দেওয়ার সময়ই তিনি লাফিয়ে মাটিতে পড়ে যান।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেন ওই মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা গেছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন তিনজন। হতাহতদের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকায় বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনসার আলী জানান, বড়তাকিয়া রেলক্রসিংয়ে মহানগর আপ ট্রেনটি যাওয়ার আগে ক্রসিংয়ের গেটে থাকা বাঁশ ফেলানো হয়। এসময় মহানগর আপ বড়তাকিয়া ক্রস করার সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোবাসটি বাঁশ উল্টিয়ে ট্রেনের লাইনে উঠে পড়ে। তারা মনে করেছিলেন, ঢাকা থেকে আসা ট্রেনটি আসার আগেই যেতে পারবেন। কিন্তু রেললাইনে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে প্রভাতি ট্রেনটি চলে আসে এবং মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ঘটনার সময় গেটম্যান উপস্থিত ছিলেন। তিনি বার বার লাল পতাকা উঁচিয়ে তাদের বারণ করলেও মাইক্রোচালক শোনেননি।
স্থানীয়দের লাইনম্যান না থাকার দাবির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। যদি ওই সময় লাইনম্যান না থাকেন, তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিরসরাইয়ে মাইক্রোবাসকে ট্রেনের ধাক্কা : হাটহাজারীর ১১ তরুণ নিহত – CTG SANGBAD24