চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানির (সিইউএফএল) নির্গত গ্যাসের বর্জ্য বিষাক্ত পানিতে মারা যাচ্ছে মাছ। এতে ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত্রস্থদের দাবী।
বুধবার (১৩ জুলাই) ভোর রাতে বারশত ইউনিয়নের গোবাদিয়া এলাকায় এঘটনা ঘটেছে। তবে এঘটনা অস্বীকার করেছে সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, কারখানার বিষাক্ত পানি স্থানীয়দের অবগত না করে খালে ছাড়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কারখানার বিষাক্ত গ্যাসের পানি ছাড়লে আগে এলাকায় মাইকিং করা হতো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে কোনো ধরনের মাইকিং ছাড়াই কারখানার বিষাক্ত পানি ছেড়ে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এতে স্থানীয়দের গবাদি গরু-মহিষ মারা পড়েছে বার বার। এবার ক্ষতি হয়েছে মাছের প্রজেক্টসহ মৎস্যখামারীদের।ঘটনার পর সিইউএফএল কতৃপক্ষ খালের পানি সংরক্ষণ করে পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য নিয়ে গেছে। তবে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কিছু বলে নাই।
গোবাদিয়া এলাকার মৎস্য খামারী মিটু চৌধুরী জানান, আমার তিন একর মাছের প্রজেক্টের সব মাছ মরে গেছে। গত দুইদিন ধরে মরা মাছের দূর গন্ধে এখানে বসাবাসও করা দায় হয়ে গেছে। প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমার।
তিনি আরো জানান, সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের কোনো ধরনের অবগত না করে বিষাক্ত পানি-বর্জ্য ছাড়াতে মৎস্য খামারীদের এ ক্ষতি হয়েছে। আমি যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
স্থানীয় বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ূম শাহ্ বলেন, সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ বিষাক্ত বর্জ্য ও অ্যামোনিয়া গ্যাস ছাড়ার কারণে কিছুদিন পরপর গরু-মহিষ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এবার মৎস্য খামারীসহ ১০টি মাছের প্রজেক্টের মাছ মারা গেছে বিষাক্ত বর্জ্য ও অ্যামোনিয়া গ্যাসের পানিতে। একের পর এক এসব ঘটনা ঘটলেও সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, প্রজেক্টসহ খামারীদের মাছ মারা যাওয়ার ঘটনাটি পর আমরা সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছি এবং পানি সংরক্ষণ করে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়েছে। পানিতে কোনো বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে কি কারণে মাছ গুলো মারা গেছে তা জানা যায়নি।