মিরসরাইয়ে অচেনা প্রার্থীর ছড়াছড়ি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে দলীয় প্রার্থীর ছড়াছড়ি হলেও ভোটাররা চেনেন না দল ও একাধিক প্রার্থীকে। দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াতসহ অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করায় ছোট দলের প্রার্থী বেড়েছে এবারের নির্বাচনে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া অনেক দল ও প্রার্থীকে চেনেন না ভোটাররা। ছোট দলগুলোর কর্মকান্ডও চোখে পড়তোনা এখানে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাচাইয়ে উত্তীর্ণ হয়ে মাঠে রয়েছেন ৮ প্রার্থী। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া গিয়াস উদ্দিনের ব্যাপক পরিচিত রয়েছে। এছাড়া সাম্যবাদী দলের প্রার্থী ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়াও পরিচিত মুখ।

এছাড়া নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রার্থী মোহাম্মদ ইউসুফ, জাতীয় পার্টির এমদাদ হোসাইন চৌধুরী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, সুপ্রিম পার্টির নুরুল করিম আফছার ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল মান্নান।

বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির (বিএসপি) প্রার্থী নুরুল করিম আফছার কিছু মানুষের কাছে পরিচিত বিভিন্ন শালিস বৈঠক করার কারণে। হঠাৎ তিনি এমপি পদে মনোনয়ন নেওয়ায় অনেকে আশ্চার্য হয়েছেন।

বড়তাকিয়া বাজারের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, মাসখানেক আগে দেখি দেওয়ালে সাঁটানো পোষ্টারে আফছারের ছবি। পরে দেখতেছি সে নাকি এমপি প্রার্থী হয়েছে। যে দল থেকে প্রার্থী হয়েছে কোনদিন ওই পার্টির নামও শুনি নাই।

বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির (বিএসপি) প্রার্থী নুরুল করিম আফছার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ আমাকে চেনে। অনেকের সাথে আমার উঠাবসা রয়েছে। তবে জীবনে প্রথমবার এমপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এটা অনেক বড় বিষয়। সর্বমহলে আমার পরিচিত রয়েছে।

বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রার্থী মোহাম্মদ ইউসুফ দীর্ঘদিন এলাকায় রাজনীতি করছেন। চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন তিনি। কিন্তু তার দলের পরিচিতি এবং মিরসরাইয়ের গ্রামপর্যায়েও দলটির সুসংগঠিত দলীয় কোনো কাঠামো নেই। ২০০৮ সালেও নির্বাচন করেছেন তিনি। এবারো প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ভোটারদের কাছে পরিচিত নন বিষয়টি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, আমি মিরসরাইয়র আনাচে-কানাচে ঘুরেছি। অনেকে আমাকে চেনে।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নামের দলটির পরিচিতি ছিল স্বাধীনতার আগে-পরে। কিন্তু দলটি এখন প্রায় বিলুপ্ত। এই দল থেকে মিরসরাইয়ে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন ঢাকার পুরানা পল্টন তোপখানা রোড এলাকার বাসিন্দা শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী। এলাকায় তার ওই অর্থে তেমন পরিচিতি নেই। একসময়ের পরিচিত মুসলিম লীগ প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছে শুধু এ আসনেই।
উপজেলার দক্ষিণ মঘাদিয়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘মুসলিম লীগ এবং বিএনএফের কার্যক্রম মিরসরাইয়ে নেই। কোনো কর্মসূচিও কোনদিন চোখে পড়েনি। যে দুই জন প্রার্থী হয়েছেন তাদের চিনি না। তবে শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি কাটাছরায় বলে শুনেছি।’

জাতীয় পাটির প্রার্থী এমদাদ হোসাইন চৌধুরীকেও কেউ চেনেন না। নির্বাচন উপলক্ষে তাকে মিরসরাইয়ে প্রথমবার দেখা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন