চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শতাধিক আকাশমণি, ম্যালেরিয়াসহ নানা ফলদ গাছ কর্তন করে করাতকলে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সাথে লোকবল নিয়ে জোর করে তপশীলভুক্ত জায়গা থেকে লক্ষাধিক টাকার চারপাশের বেড়া ও পাকা পিলার নিয়ে যাওয়া এবং জমি দখলের অভিযোগে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ভুক্তভোগী সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী আসিফ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে।
ভুক্তভোগী সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী আসিফ জানান, উক্ত তপশীলোক্ত সম্পত্তি আমার পৈত্রিক মৌরসী সম্পত্তি এবং কিছু সম্পত্তি রেজিষ্ট্রার্ড কাগজপত্রমূলে প্রাপ্ত সম্পত্তি হয়। আমার পিতা, আমি ও আমার মাসহ অন্যান্য ভাইবোনদের নামে হেবা সম্পাদন করলে পরবর্তী নামজারী সৃজিত হয়। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় হামুনের তান্ডবে আমাদের জায়গা থেকে গাছপালা ভেঙে পড়ে ও কিছু গাছ মাটি থেকে উপড়ে যায়। সে সুযোগে প্রতিবেশী ইসমাইল ফারুক (৩৪), জাবের ফারুক (৩৫), জসিম উদ্দিন (৩৬), হাসিনা বেগম (৩৫) ও জানাহানারা বেগম (৫০) নিজেদের সম্পত্তি দাবি করে জোরপূর্বক গত ২৮ অক্টোবর সকাল ৮টায় আসামীরাসহ অজ্ঞাতনামা ২০জন শ্রমিক নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে শতাধিক বনজ ও ফলদ গাছ কর্তন করে। যাহার আনুমানিক মুল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
এ ঘটনায় আশরফ মিয়া চৌধুরীর পুত্র সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী আসিফ সরকারী জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে বাঁশখালী থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর দুস্কৃতিকারিরা পালিয়ে যায়। অপরদিকে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদ্বয়ের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন যে, আসামীরা আমাদের মালিকানা সম্পত্তি নিজেদের সম্পত্তি ভূয়া দাবী ও প্রচার করে অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল করে। উক্ত তপশীলোক্ত জায়গা তাহাদের সম্পত্তি নয়।