মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ

সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেছেন, উন্নয়নের প্রকৃষ্ট উদাহরণ মিরসরাই। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা এবং সদিচ্ছায় বদলে গেছে মিরসরাই তথা পুরো দেশের সামগ্রিক চিত্র। ইকোনোমিক জোন বাংলাদেশকে যে অবস্থানে নিয়ে গেছে, সেটা অতীতে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। বিএনপি জামায়াত নৈরাজ্য করে ক্ষমতায় আসতে চায়, তারা আবারও খুনের রাজনীতিতে নেমে পড়েছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের কৃতকর্মের জবাব দেয়ার জন্য সদা প্রস্তুত রয়েছে।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌসভায় হাইওয়ে চত্বরে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সাতবার এমপি নির্বাচিত হয়েছি, তিনবার মন্ত্রী হয়েছি। প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমানতো ঘোষণা করেই দিয়েছে, আমার ছেলে রুহেলের নাম। আমার তো বয়স হয়েছে। সে যদি এমপি হয় আমি খুশি হব।’

উক্ত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

এ সময় হানিফ বলেন, ‘ভিসানীতি নিয়ে কথা বলার আগে আপনাদের একটু লজ্জিত হওয়ার দরকার ছিল, কারণ আপনাদের নেতা তারেক রহমান, যাকে নিয়ে আপনারা এত বড়াই করছেন সেইতো বাংলাদেশে প্রথম স্যাংশনের শিকার হয়েছেন। তাকেই আমেরিকা ২০০৮ সালে সন্ত্রাসী হিসেবে প্রথম স্যাংশন দিয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের লজ্জা নেই। সেই আল্টিমেটাম শুরু হয়েছিলো ২০১৩ সাল থেকে। একদিকে খালেদা জিয়ার মামলার ট্রায়াল চলছিল অন্যদিকে বিএনপি এতিমের টাকার লোভ যে সামলাতে পারে না তাদের সেই তথাকথিত নেত্রীকে মামলা থেকে বাঁচাতে সারাদেশে জালাও পোড়াও শুরু করেছিল। আজ ২০২৩ সাল এখনো তাদের সেই আল্টিমেটামের শেষ হলো না। শেখ হাসিনা বারবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছে, আর আপনাদের নেত্রী মামলায় সাজা হয়ে কারাগারে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কৃপায়, দোয়ায়, মমতায় ও আশির্বাদে তিনি (খালেদা) এখন বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

এদিকে শুক্রবার জনসভার মূল প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার আগে উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার নেতাকর্মীদের পদচারনায় মুখরিত হয় পুরো এলাকা। খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন তারা। পুরো এলাকা ব্যানার, পেষ্টুন, পোষ্টার ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। দুপুরের আগেই জনসভাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিরসরাইয়ের এমপি পুত্র ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহবুব রহমান রুহেলে নামে মিছিল দিতে থাকেন।

মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এবং বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকনের সার্বিক তত্বাবধানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি.এম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য খাদিজাতুল কোবরা সনি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, সদস্য মাহবুব রহমান রুহেল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এরাদুল হক নিজামী ভুট্টো, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন দিদার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপু। এসময় সীতাকুন্ড আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, সীতাকুন্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুনসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন