তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক, বরং বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করছে। খালেদা জিয়া যতবারই হাসপাতালে গেছে ততবারই বিএনপি বলেছে বিদেশ না পাঠালে খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন এবং তাকে বাচাঁনো কঠিন হবে। কিন্তু প্রতিবারই আল্লাহর রহমতে তিনি হাসপাতালে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসা ও সেবায় সুস্থ হয় বাড়ি ফেরত গেছে। এখনো বেগম খালেদা জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পায় সরকার সেজন্য যা কিছু করা দরকার সেটি করছে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াস্থ শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে নতুনভাবে চালুকৃত ক্যাবলকার (রোপওয়ে) উদ্বোধন শেষে বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার হত্যার চেষ্ঠা করছে বলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু’র বক্তেব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষার জন্য যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সেকারণে দেশের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো। দেশে বন আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে দেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিযারি এন্ড ইকো পার্ক স্থাপন করতে পেরেছি। আজ থেকে প্রায় দশ বছরেরও বেশি সময় আগে এই পার্কে আসা-যাওয়া মিলে ২.৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ক্যাবল কার (রোপওয়ে) স্থাপন করা হয়েছে। এই পার্কের উন্নয়নের জন্য আরও ১২৬ কোটি টাকা সরকার বরাদ্দ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেই বরাদ্দ থেকে আরও দুই কিলোমিটার দৈর্ষ্য ক্যাবল কার স্থাপন করা হবে। মোট ৪.৪ কিলোমিটার ক্যাবল কার স্থাপিত হবে। দেশের কোথাও এতো দীর্ঘ ক্যাবল কার নেই। শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে বিদেশের অনেক জাতের পাখি আছে, আমাদের দেশে অনেক সাফারি পার্ক আছে কিন্তু এরকম এভিয়ারি আমাদের দেশে আর কোথাও নাই। এটিই দেশের প্রথম এভিয়ারি পার্ক। আমি মনে করি শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে ক্যাবল কার পুনঃউদ্যোমে যখন চালু হবে তখন দেশ এবং বিদেশের পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্যস্থলে পরিণত হবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আয়োজনে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও উপ প্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফও আবদুল্লাহ আল মামুন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী।